সন্তানের মরদেহ ফেরত পেতে দীর্ঘ ৪৮ বছর ধরে লড়াই চালিয়ে গেছেন স্কটল্যান্ডের এক নারী। অবশেষে তিনি তার এক সপ্তাহ বয়সী সন্তানের মরদেহ ফেরত পেয়েছেন। সংগ্রামী ওই নারীর নাম লায়দিয়া রিড। খবর বিবিসি।

lydia reidলায়দিয়া রিড

খবরে জানা গেছে, ১৯৭৫ সালে এক সপ্তাহ বয়সে মারা যায় রিডের সন্তান গ্যারি পেটন। তখন তিনি সন্তানের মরদেহ দেখতে চাইলে এডিনবার্গের রয়্যাল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাকে অন্য শিশুর মরদেহ দেখায়। রিড তখন প্রতিবাদ জানালেও কোনো কাজ হয়নি। বরং তার ইচ্ছের বিরুদ্ধেই গ্যারির মরদেহের ময়নাতদন্ত করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

পরে রিড বুঝতে পারেন, ময়না তদন্তের নামে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ গ্যারির শরীরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ এমনকি পুরো শরীরটিই রেখে দিয়েছে। বিষয়টি নিয়ে আদালতে যান লায়দিয়া রিড। সেটি আমলে নিয়ে আদালত গ্যারির কবর খোঁড়ার নির্দেশ দেন। ৪২ বছর পর ২০১৭ সালে ওই কবর খোঁড়া করা হয়। তদন্তে দেখা যায়, সেখানে আদৌ কোনো মরদেহ ছিল না।

garryগ্যারির সমাধিফলক

এরপর শুরু হয় রিডের নতুন সংগ্রাম। হাসপাতালে পরীক্ষার জন্য রেখে দেওয়া গ্যারির দেহাবশেষ ফিরে পেতে লড়াই শুরু করেন তিনি। অবশেষে চলতি মাসে গ্যারির অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ এবং শরীরের বাকি অংশ ফেরত দিতে রাজি হয় এডিনবার্গ রয়্যাল হাসপাতাল।

ক্যান্সারে আক্রান্ত রিডের বয়স এখন ৭৪ বছর। আদালতের রায়ের ব্যাপারে তিনি বলেন, বিষয়টি অবিশ্বাস্য। এত বছর পর সন্তানের মরদেহ ফেরত পাচ্ছি। আমার কেমন লাগছে তা ভাষায় প্রকাশ করা কঠিন। তবে আমি শেষ পর্যন্ত আমি মারা যাওয়ার আগে আমার ছেলেকে সমাধিস্ত করতে পারছি, এটাই আমার কাছে বড় স্বস্তির বিষয়।

লায়দিয়া রিডের এ দীর্ঘ সংগ্রামে তার সন্তানের মরদেহ ফেরত পাওয়ার পাশাপাশি প্রকাশ্যে এসেছে কিভাবে স্কটল্যান্ডের হাসপাতালগুলো গবেষণার জন্য অবৈধভাবে শিশুদের মরদেহ সংরক্ষণ করত। জানা গেছে, ১৯৭০ থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত স্কটল্যান্ডের হাসপাতালগুলো ছয় হাজারের বেশি অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ এবং টিস্যু সংরক্ষণ করেছিল।

Discover extraordinary stories from around the world with our exceptional news coverage. From uplifting human interest stories to groundbreaking scientific discoveries, we bring you the best of the best. Stay informed about the latest breakthroughs in technology, medicine, and beyond, and explore the world's most fascinating cultures and communities. Get inspired and informed with our exceptional news coverage.