উত্তেজনার মধ্যেই কৃষ্ণসাগরে ফের মার্কিন নজরদারি ড্রোন

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি ড্রোন সাগরে বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনা চলতি সপ্তাহে ছিল ব্যাপক আলোচিত। গত মঙ্গলবার ড্রোনটি বিধ্বস্ত হওয়ার পর রাশিয়া-যুক্তরাষ্ট্র পরস্পর দোষারোপের খেলায় জড়িত হয়ে পড়ে। উত্তেজনার রেশ কাটতে না কাটতেই যুক্তরাষ্ট্র কৃষ্ণসাগর অঞ্চলে ফের নজরদারি ড্রোন উড়িয়েছে। খবর টিআরটি ওয়ার্ল্ড।

মার্কিন ড্রোন আরকিউ-৪ গ্লোবাল হক

দুই মার্কিন কর্মকর্তা বলেছেন, আরকিউ-৪ গ্লোবাল হক নামে একটি ড্রোন ফের কৃষ্ণসাগরের আকাশে উড়ানো হয়েছে। গত মঙ্গলবার ড্রোন বিধ্বস্ত হওয়ার পর এটি ছিল প্রথম মার্কিন ড্রোন। পেন্টাগনের কর্মকর্তারা শুরু থেকেই বলে আসছিলেন, ওয়াশিংটন ড্রোন মিশন বন্ধ করবে না।

গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর থেকে রাশিয়া-যুক্তরাষ্ট্র কোনো সরাসরি সংঘর্ষ কিংবা বাদানুবাদে জড়ায়নি। তবে ওই ড্রোনটি ভূপাতিত হওয়ার পর প্রথম দুদেশ বাগযুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে।

যুক্তরাষ্ট্রের দাবি, ড্রোনটি রাশিয়ান যুদ্ধবিমানের ধাওয়া ও আঘাতে বিধ্বস্ত হয়েছে। আর রাশিয়ার দাবি, যুদ্ধবিমানের আঘাতে নয়, ড্রোনটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সাগরে বিধ্বস্ত হয়েছে। ওই ড্রোনটি ছিল এমকিউ-৯ মডেলের। ড্রোনটি বিধ্বস্ত হওয়ার পর ওয়াশিংটন-মস্কো কূটনীতিক সম্পর্ক অবনতি হয়েছে।

এদিকে মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন, হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান এবং মার্কিন জেনারেল মার্ক মিলি ইউক্রেনের প্রতি অটল সমর্থনের কথা ব্যক্ত করেছেন।

হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, তারা ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট কার্যালয় থেকে বলা হয়েছে, জেলেনস্কি রুশ দখলদারদের কাছ থেকে ইউক্রেনের ভূমি মুক্ত করার বিষয়ে তার চিন্তা মার্কিন কর্মকর্তাদের সঙ্গে শেয়ার করেছেন।

এক বিবৃতিতে এ বিষয়ে বলা হয়, জেলেনস্কি ইউক্রেন সেনাবাহিনীর জরুরি প্রয়োজন সম্পর্কে মিত্রদের বিশদভাবে অবহিত করেছেন। যুদ্ধের বর্তমান পরিস্থিতি সবচেয়ে কঠিন। যুক্তরাষ্ট্র ও মিত্র দেশগুলো ইউক্রেনকে প্রয়োজনীয় সহায়তা অব্যাহত রাখার বিষয়ে আশ্বাস দিয়েছে। বিশেষ করে যুদ্ধ সরঞ্জাম, অস্ত্র ও গোলাবারুদ জরুরি হয়ে পড়েছে।