পাকিস্তানের বেসামরিক সম্মানে ভূষিত বাবর আজম

পাকিস্তানের তৃতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মান সিতারা-ই-ইমতিয়াজ পেয়েছেন পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর আজম। ২৩ মার্চ পাকিস্তান দিবসে লাহোরে একটি অনুষ্ঠানে তাকে এই সম্মান প্রদান করা হয়। ২৮ বছর বয়সী বাবর পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদকে হারিয়ে সর্বকনিষ্ঠ ব্যক্তি হিসেবে এই সম্মান অর্জন করেছেন।

বাবর আজম

২০১৮ সালে করাচিতে সরফরাজকে সিতারা-ই-ইমতিয়াজ দেওয়া হয়েছিল, যখন তার বয়স ছিল ৩১। সাবেক পাকিস্তান মহিলা ক্রিকেট দলের অধিনায়ক বিসমাহ মারুফকে তমঘা-ই-ইমতিয়াজ সম্মানে ভূষিত হয়েছেন। যা পাকিস্তানের কোনো চতুর্থ বেসামরিক সম্মান।

গত বছর ১৪ আগস্ট পাকিস্তান সরকার ঘোষণা করেছিল, ক্রিকেটে কৃতিত্বের জন্য বাবরকে পুরস্কার দেওয়া হবে। জাভেদ মিয়াঁদাদ, ইনজামাম-উল-হক, মোহাম্মদ ইউসুফ, ইউনিস খান, শহীদ আফ্রিদি, সাঈদ আজমল এবং মিসবাহ-উল-হকও এর আগে এই পুরস্কার পেয়েছিলেন।

পুরস্কারটিকে ‘একটি বিশাল সম্মান’ বলে অভিহিত করেছেন বাবর এবং এটি তার পিতামাতা, ভক্ত এবং পাকিস্তানের জনগণকে উৎসর্গ করেছেন। বাবরের এমন অর্জনে কামরান আকমল, আজমল, শাহনওয়াজ দাহানি, সাইম আইয়ুব এবং মোহাম্মদ হারিসসহ অতীত ও বর্তমান অনেক ক্রিকেটার তাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।

২০১৫ সালে আন্তর্জাতিক অভিষেক হওয়ার পর থেকে বাবর তার প্রজন্মের সেরা ক্রিকেটারদের একজন হয়ে উঠেছেন। পাকিস্তানের ক্রিকেট ইতিহাসের সর্বশ্রেষ্ঠ ব্যাটারদের মধ্যে স্থান করে নিয়েছেন।

তার ওয়ানডে ক্যারিয়ারের গড় ৫৯.৪১; কমপক্ষে ২০০০ রান করা খেলোয়াড়দের মধ্যে যা সর্বোচ্চ। এই ফরম্যাটে ব্যক্তিগত ১৭টি সেঞ্চুরি তাকে পাকিস্তানের সর্বকালের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রেখেছে। তিনি ২০১৭ সালে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জয়ী দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন।

টেস্ট ফরম্যাটে বাবরের ৩৬৯৬ রানের সঙ্গে রয়েছে ৯টি শতরান এবং গড় ৪৮.৬৩। এছাড়াও টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে তিনি ৪১.৪১ গড়ে এবং ১২৭.৮০ স্ট্রাইক রেটে ৩৩৫৫ রান করেছেন। এমনকি এই ফরম্যাটে পাকিস্তানের হয়ে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক তিনি। পাকিস্তানের মোট চারটি টি-টোয়েন্টি শতকের দুটিই তার।

২০২১ সালে টেস্ট অধিনায়কত্ব নেওয়ার আগে তাকে ২০২০ সালে ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়ক মনোনীত করা হয়েছিল।

এদিকে, বিসমা মারুফ হলেন দ্বিতীয় মহিলা ক্রিকেটার যিনি সানা মিরের পর তমঘা-ই-ইমতিয়াজ পেয়েছেন। বিসমা এই পুরস্কারটি তার বাবাকে উৎসর্গ করেছেন বলে জানান তিনি। মারুফ ২০১৩ সালে পাকিস্তানের অধিনায়কত্ব শুরু করেছিলেন। ২০২০ পর্যন্ত দায়িত্ব ধরে রেখেছিলেন।