তবুও সাকিবের কণ্ঠে আক্ষেপ

চট্টগ্রামে বৃষ্টিবাঁধায় রেকর্ড রান করা হয়নি বাংলাদেশের। ইনিংসের চার বল বাকি থাকতে বৃষ্টি নামে। এরপর আর ব্যাটিং করার সুযোগ পাননি সাকিব-মিরাজরা। পেলে হয়ত নিজেদের এই সংস্করণের সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড ভেঙে দিতে পারতেন। বাকি চার বলে ৯ রান হলেই হয়ে যেত সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড।

সাকিব আল হাসান

ক্রিকেটের এই সংস্করণে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ সংগ্রহ ২১৫ রান। ২০১৮ সালে নিদাহাস ট্রফিতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে এ রান করেছিল টাইগাররা। সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড গড়তে না পারলেও ডিএলএস মেথডে ২২ রানের বড় ব্যবধানে ম্যাচটি জিতে নিয়েছে সাকিব আল হাসানের দল।

যদিও রানের হিসেবে জয় দেখে পরিস্থিতি বিবেচনা করা যাবে না। আট ওভারে ১০৪ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশের বোলারদের ভালোই পরীক্ষা নিয়েছে আয়ারল্যান্ড। দলীয় এবং নাসুম আহমেদের প্রথম ওভার থেকে ১৮ রান তুলে নিয়েছিল সফরকারীরা। মুস্তাফিজকেও ছাড় দেয়নি। কাটার মাস্টারের দ্বিতীয় ওভার থেকে আইরিশরা নিয়েছে ১৪ রান।

দুই ওভারে ৩২ রান তুলে বাংলাদেশ শিবিরে ভয় ধরিয়ে দিয়েছিল আয়ারল্যান্ডের দুই ওপেনার। এ সময়ে ৬ বল করে খেলে পল স্ট্রার্লিং এবং রস অ্যাডায়ার দুজনেই করেন ১৩ রান। তৃতীয় ওভারের পাশার দান পাল্টে দেন হাসান মাহমুদ। ওই ওভারে পাঁচ রান দিয়ে এক উইকেট তুলে নেন হাসান।

পরের ওভারে তাসকিন এসে তো আইরিশদের ম্যাচ থেকেই ছিটকে দেন। নিজের করা প্রথম ওভারে সাত রানের বিনিময়ে তুলে নিয়েছেন তিন উইকেট। বাংলাদেশ এভাবে ম্যাচ ঘুরিয়ে দিলেও সাকিব চান আরও অপশন থাকুক তার হাতে। বিশেষ করে ষষ্ঠ বোলারের প্রয়োজন এ ধরনের ম্যাচে।

পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে সাকিবের কণ্ঠে ঝরল অলরাউন্ডিং পারফরম্যান্সের আক্ষেপ। আক্ষেপ শব্দটা হয়ত যায় না, বাস্তবতাই তুলে ধরলেন তিনি, ‘টি-টোয়েন্টিতে আমাদের অলরাউন্ডিং পারফরম্যান্স দরকার। বৃষ্টির পর উইকেট কেমন আচরণ করবে তা আমরা জানতাম না। তবে তারা (আয়ারল্যান্ড) শুরু থেকেই ইতিবাচক ছিল। ছেলেরা আতঙ্কিত হয়নি। তারা ক্রিকেট উপভোগ করেছে, বোলাররা যেভাবে বল করেছে সেটা অসাধারণ।’