আপনি পড়ছেন

মাহে রমজানের একটি গুরুত্বপূর্ণ ও বিশেষ আমল তারাবিহর নামাজ। বুখারি শরিফের হাদিসে উল্লেখ রয়েছে, ‘যে ব্যক্তি ঈমানের সঙ্গে সওয়াবের আশায় তারাবিহর নামাজ পড়বে, তার আগের সব গুনাহ মাফ করে দেওয়া হবে’।

taraweeh in kaaba 1বায়তুল্লাহ শরিফে নামাজরত অবস্থায় মসল্লিরা

সুন্নাত হলেও তারাবিহর নামাজ জামাতে পড়ার বিধান রয়েছে। এ নামাজের জন্য পৃথক ইমামও নিয়োগ দেওয়া হয়ে থাকে। সবমিলিয়ে এ তারাবিহ নামাজের মর্যাদা অন্যান্য নফল বা সুন্নাতের চেয়ে বেশি। যদিও নবিজীর (স.) সময় নিয়মিত জামাতে পড়া হয়নি। রাসলুল্লাহ (স.) কখনও জামাতের সঙ্গে তারাবিহর নামাজ আদায় করেছেন, কখনও কিছু অংশ জামাতের সঙ্গে আদায় করে বাকি অংশ একাকি আদায় করেছেন। আবার কখনও পুরোটাই একাকি আদায় করেছেন।

এর কারণ হিসেবে রাসুল (স.) সাহাবিদের (রা.) উল্লেখ করেছেন, নিয়মিত জামাতের সঙ্গে তারাবিহর নামাজ আদায় করলে এটি উম্মতের ওপর ফরজ হিসেবে নির্ধারণ করা হতে পারে। এমনটি হলে উম্মতের একটি অংশের জন্য তা কঠিন হয়ে যেতে পারে। এই আশঙ্কায় রাসুল (স.) ভিন্নভাবে তারাবিহর নামাজ আদায় করতেন।

taraweeh in masjide nababiমসজিদে নববিতে নামাজরত মুসল্লিরা

রাসুলুল্লাহ (স.) প্রথমদিন যখন মসজিদে তারাবিহর নামাজ আদায় করছিলেন, সেদিন কিছু সাহাবি (রা.) তাঁর সঙ্গে যোগ দেন। দ্বিতীয় দিন বিষয়টি জানাজানি হলে আরও বেশি সংখ্যক সাহাবি তারাবিহর নামাজে যুক্ত হন। তৃতীয় দিনে এ সংখ্যা আরও বেড়ে যায়। চতুর্থদিনে পরিস্থিতি এমন যে মসজিদে আগত মুসল্লিদের স্থান সংকুলান হচ্ছিল না।

পরবর্তীতে রাসুল (স.) বেশিরভাগ সময় একাকিই তারাবিহর নামাজ আদায় করতেন। প্রথম খলিফা হযরত আবু বকরের (রা.) সময়েও এভাবেই তারাবিহর নামাজ আদায় হয়েছে। দ্বিতীয় খলিফা হযরত ওমরের (রা.) শাসনামলের প্রথমদিকে এভাবে তারাবিহর নামাজ আদায় করতেন সাহাবিরা।

একদিন হযরত ওমর মসজিদে নববিতে এসে দেখেন, কেউ কেউ জামাতে তারাবিহর নামাজ পড়ছেন। আবার কেউ একাকি পড়ে নিচ্ছেন। এমন অবস্থায় তিনি পরবর্তী সময়ে বিশৃঙ্খলার আশঙ্কা করেন। সবার সঙ্গে পরামর্শ করে তিনি ইমামের পিছনে তারাবিহর নামাজ আদায়ের ঘোষণা দেন। সেই থেকে এখন পর্যন্ত তারাবিহর নামাজ জামাতে আদায় হয়ে আসছে।

গুগল নিউজে আমাদের প্রকাশিত খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন...

খেলাধুলা, তথ্য-প্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, দেশ-বিদেশের রাজনৈতিক বিশ্লেষণ সহ সর্বশেষ খবর