টেস্টে আয়ারল্যান্ডকে শক্তিমত্তা দেখাতে চায় বাংলাদেশ

দুই একটি ম্যাচ বাদ দিলে টেস্ট ক্রিকেটে লম্বা একটা সময় বাংলাদেশ পাড় করেছে অত্যন্ত বাজেভাবে। সেই সময়গুলোতে প্রতিপক্ষ হিসেবে জিম্বাবুয়েকে পেলেই কেবল বাংলাদেশের জয়ের সম্ভাবনা থাকত। এছাড়া প্রায় প্রতিটি দলের বিপক্ষেই পরাজয় সঙ্গী ছিল টাইগারদের। তিন দিনে টেস্ট হারার রেকর্ড আছে অনেক। প্রতিপক্ষ দলগুলোকে দুই ইনিংসে ব্যাট করাতে পারতো কালেভদ্রে। সে সময়ে টেস্ট দলের সদস্য ছিলেন আব্দুর রাজ্জাক। মাঠে দেখেছেন বাংলাদেশের হতাশাজনক পরাজয়।

প্রধান কোচ চন্ডিকা হাথুরু সিংহের সঙ্গে গতকাল অনুশীলনে ব্যস্ত সময় পার করেন তামিম ইকবাল ও সাদমান ইসলাম

এরপর লাল বলের ক্রিকেটে বাংলাদেশ ঘরের মাঠে কিছু ম্যাচে দাপটের সঙ্গে জিতেছে। বিদেশের মাটিতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে একটি জয় পেয়েছে মুমিনুল হকের দল। টেস্টে অনিয়মিত সাবেক এই স্পিনার সবশেষ খেলেছেন ২০১৮ সালে। ঘরের মাঠে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সেই টেস্টে বাংলাদেশ হারে ২১৫ রানের বড় ব্যবধানে। ১৩ টেস্ট ক্যারিয়ারে দাঁড়ি পড়ে যায় সেখানেই।

এবার ভিন্ন পরিচয়ে বাংলাদেশ দলের দাপট উপভোগ করতে চান বাহাতি এই স্পিনার। ক্রিকেটার না হোক, নির্বাচক হিসেবে সামনে থেকে দেখতে চান বাংলাদেশ দলের দাপট।

আরও একটি টেস্ট সামনে রেখে অতীতের সেসব দিনে ফিরে গেলেন সাবেক এই ক্রিকেটার। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে মঙ্গলবার একমাত্র টেস্টে মাঠে নামবে বাংলাদেশ। তার আগে রাজ্জাক জানালেন বাংলাদেশ জিততে চায় প্রভাব বিস্তার করে। নিজেদের শক্তিমত্তা জানান দিতে প্রস্তুত টাইগাররা। আইরিশদের বিপক্ষে পূর্ণ শক্তির টেস্ট স্কোয়াড দেখলেই তা পরিষ্কার।

রোববার সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় তিনি বলেন, ‘আমার হিসেব সোজা, জিততে চাই, খুব ভালোভাবে টেস্ট ম্যাচটা জিততে চাই। একটা সময় আমরা যখন কোনো বড় দলের বিপক্ষে টেস্ট খেলতে যেতাম তারা দাপট দেখিয়ে জিততো। এবার সময় এসেছে আমাদের দাপট দেখানোর। আয়ারল্যান্ডের সঙ্গে আমরা সেভাবেই জিততে চাই, এই ফরম্যাটেও আমাদের উন্নতি হয়েছে সেটা বোঝাতে চাই। তাদের সঙ্গে আমাদের পার্থক্যটা পরিষ্কার করতে চাই।’

আব্দুর রাজ্জাক

তিনি আরও বলেন, ‘সংস্করণটা টেস্ট বলেই পূর্ণ শক্তির দল দিয়েছি। টেস্ট ম্যাচ একটি ভিন্ন জিনিস। আমরা যখন ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া কিংবা দক্ষিণ আফ্রিকায় খেলতে যেতাম তারা আমাদের বিপক্ষে পূর্ণ শক্তির দলই খেলাতো। এই যে সবশেষ সিরিজে ভারত কিন্তু তাদের সেরা একাদশই নামিয়েছিল আমাদের বিপক্ষে। এটা হয়ত টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের অংশ নয়, তবে টেস্ট জেতা বড় একটি বিষয়। কেউ সে সুযোগ হাতছাড়া করতে চায় না।’

‘আয়ারল্যান্ডের বেশ কিছু ক্রিকেটার কাউন্টি ক্রিকেটে নিয়মিত খেলে থাকে। তাদেরকে হালকাভাবে নেওয়ার কিছু নেই। ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টি সিরিজের ফল দেখে যদি মনে হয় তারা ভালো দল নয়, তবে সেটা ভাবা ভুল হবে। সাদা বলের ক্রিকেটে তারা যেভাবে খেলেছে তার চেয়ে ভালো দল তারা। হয়ত এখানে ওরা কোনো কারণে মানিয়ে নিতে পারেনি। তবে নিঃসন্দেহে ওরা ভালো দল। আমার জানা মতে, ওদের ৯০ শতাংশ ক্রিকেটার কাউন্টিতে খেলে। তাছাড়া আমাদের এখনও সে সময় আসেনি যে ৪-৫ জন ক্রিকেটারকে বসিয়ে টেস্ট ম্যাচ খেলব। আমার মনে হয় ওই পর্যায়ে যেতে আমাদের সময় লাগবে আরও।’ যোগ করেন রাজ্জাক।