শেষ ৩৮ রানে ৫ উইকেট হারায় বাংলাদেশ

সেঞ্চুরির পরও দারুণ ব্যাট করছিলেন মুশফিকুর রহিম। তবে এই উইকেটকিপার ব্যাটসম্যানের বিদায়ের পর বাংলাদেশের হয়ে এক মেহেদি হাসান মিরাজ ছাড়া টেলএন্ডারদের মধ্যে আর কেউই প্রতিরোধ গড়তে পারেনি। শেষ ৩৮ রানে ৫ উইকেট হারিয়েছে স্বাগতিকরা। নিজেদের প্রথম ইনিংসে ৩৬৯ রানে অলআউট হয়ে যায় বাংলাদেশ।

শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হন মিরাজ

তাইজুল ইসলামের বোলিং তোপে পড়ে প্রথম ইনিংসে ২১৪ রানে গুটিয়ে যায় আয়ার‌্যলান্ড। সর্বোচ্চ ৫০ রান আসে হ্যারি টেক্টরের ব্যাট থেকে। লোরকান টাকার ও কার্টিন ক্যাম্ফার করেন যথাক্রমে ৩৭ ও ৩৪ রান। মার্ক আদাইর খেলেন ৩২ রানের ইনিংস। ৫৮ রান খরচায় ৫ উইকেট নেন তাইজুল। এবাদত হোসেন চৌধুরী ও মেহেদি হাসান মিরাজের শিকার দুটি করে উইকেট।

জবাব দিতে নেমে প্রথম দিন শেষে ২ উইকেট হারিয়ে ৩৪ রান তোলে বাংলাদেশ। ২১ রান করে ফেরেন তামিম। অন্যদিকে রানের খাতা খুলতে পারেননি নাজমুল হোসেন শান্ত। দ্বিতীয় দিনের শুরুতে ব্যক্তিগত ১৭ রানে মমিনুল হক সৌরভ বিদায় নিলে বিপদ বাড়ে স্বাগতিক শিবিরে। শক্ত হাতে এই বিপদ সামাল দেন মুশফিক ও সাকিব আল হাসান।

এই দুইজনের চতুর্থ উইকেট জুটিতে ১৫৯ রান তোলে বাংলাদেশ। সাকিব ১৩ রানের জন্য সেঞ্চুরি বঞ্চিত হলে এই জুটির সমাপ্তি ঘটে। অন্যপ্রান্তে ঠিকই সেঞ্চুরি তুলে নেন মুশফিক। সাবেক অধিনায়কের টেস্ট ক্যারিয়ারের দশম শতকের কিছুক্ষণ পর ফেরেন লিটন কুমার দাস। তার আগে ৪৩ রান করেন এই ফরম্যাটে সাকিবের ডেপুটি। পরপর সাকিব ও লিটনকে হারানোর পর মিরাজের সঙ্গে জুটি বাঁধেন মুশফিক।

ছক্কা মারতে গিয়ে ইনিংসের ৬৮তম ওভারে বিদায় নেন মুশফিক। ১৬৭ বলে ১৫ চারের পাশাপাশি ১ ছয়ের সাহায্যে ১২৬ রান করেন তিনি। খানিক বাদে তাইজুল ও এবাদতকেও হারায় স্বাগতিকরা। ফিফটির পর ব্যক্তিগত ৫৫ রানে শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে বেঞ্জামিন হোয়াইটের শিকার হন মিরাজ। ১১৮ রানের বিনিময়ে ৬ উইকেট নেন ম্যাকব্রায়েন। ১৫৫ রান পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসের খেলা শুরু করবে আইরিশরা।