হুথিদের সঙ্গে স্থায়ী যুদ্ধবিরতিতে যাচ্ছে সৌদি!

সৌদি ও ওমানের রাষ্ট্রদূতরা হুথি কর্মকর্তাদের সঙ্গে একটি স্থায়ী যুদ্ধবিরতি চুক্তির জন্য আলোচনায় বসতে চাচ্ছেন। আট বছরের পুরোনো সংঘাতের অবসান ঘটাতে সৌদি প্রতিনিধি দল আগামী সপ্তাহে ইয়েমেনের রাজধানী সানায় যাওয়ার পরিকল্পনা করছে। আলজেমিনারের খবর।

সানার আকাশে সৌদি সামরিক জোটের একটি হেলিকপ্টার, ২০২২ সালের ছবি।

বছরের পর বছর হুথিদের সঙ্গে বৈরিতা ছিল সৌদি আরবের। গত মাস থেকে প্রতিদ্বন্দ্বী ইরানের সঙ্গে সম্পর্ক পুনরুদ্ধার করতে সম্মত হওয়ার পর স্থায়ী যুদ্ধবিরতির কথা ভাবছে দেশটি।

ওমানের মধ্যস্থতায় সানায় সৌদি কর্মকর্তাদের এই সফর ইরান সমর্থিত হুথি আন্দোলনের সঙ্গে সুসম্পর্ক তৈরির ইঙ্গিত দিচ্ছে, যা একটি বড় অগ্রগতি।

ওমানের সঙ্গে ইয়েমেনের বিশাল সীমান্ত রয়েছে। কয়েক বছর ধরে ওমান ইয়েমেনের যুদ্ধরত দলগুলোর মধ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করে আসছে। ইরান, সৌদি আরব ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে মতপার্থক্য দূর করার চেষ্টাও করছে দেশটি। ইয়েমেনে একটি স্থায়ী যুদ্ধবিরতি মধ্যপ্রাচ্যকে স্থিতিশীল করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে, এমনটাই মনে করছেন নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা।

আগামী সপ্তাহে যদি সমঝোতার বিষয়টি নিশ্চিত হয়, তবে আগামী ২০ এপ্রিল থেকে শুরু হওয়া ঈদের ছুটির আগেই যুদ্ধবিরতি ঘোষণা আসতে পারে। যদিও সৌদি কিংবা ইয়েমেন সরকার কোনো পক্ষই এ ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করেনি।

হুথিরা ২০১৪ সালের শেষ দিকে সানা থেকে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করে। প্রকৃতপক্ষে গোষ্ঠীটি উত্তর ইয়েমেন নিয়ন্ত্রণ করছে। তারা বরাবরই দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যবস্থা এবং বিদেশি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে নিজেদের উপস্থাপন করেছে।

হুথি বিদ্রোহীরা ২০১৫ সাল থেকে সৌদি নেতৃত্বাধীন সামরিক জোটের বিরুদ্ধে লড়াই করে আসছে। এ সংঘাতে হাজার হাজার মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে। বর্তমানে ইয়েমেনের জনসংখ্যার ৮০ শতাংশই মানবিক সহায়তার ওপর নির্ভরশীল।

একটি সূত্র জানিয়েছে, হুথিদের সঙ্গে আলোচনার বিষয়বস্তু হবে ইয়েমেনের নৌবন্দর ও বিমানবন্দরগুলো সম্পূর্ণরূপে পুনরায় চালু করা। তাছাড়া সরকারি কর্মচারীদের মজুরি প্রদান ও দেশকে একটি পুনর্নির্মাণ প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে কিভাবে নেওয়া যায় সে ব্যাপারেও আলোচনা হবে।