যেন ইডেন গার্ডেন ফিরল আহমেদাবাদে, কলকাতার অবিশ্বাস্য জয়

২০১৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের কথা নিশ্চয়ই মনে আছে? ভারতের ইডেন গার্ডেনের সেই ফাইনালের শেষ ওভারে টানা চার ছক্কা মেরে ১৯ রানের সমীকরণ মিলিয়েছিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের কার্লোস ব্রাথওয়েট। আজ আহমেদাবাদে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) কলকাতা নাইট রাইডার্সের সামনে সমীকরণটা ছিল আরও কঠিন। শেষ ওভারে জিততে দরকার ছিল ২৯ রান। এমন কঠিন সমীকরণও মিলিয়ে দিলেন ‘আনকোরা’ রিংকু সিং!

যেন ইডেন গার্ডেন ফিরল আহমেদাবাদে

সেদিনের ব্রাথওয়েট যেন আজ ভর করল রিংকুর ওপর। ওভারের দ্বিতীয় বলে স্ট্রাইক পাওয়ার পর টানা পাঁচ বলে ছক্কা হাকিয়ে অবিশ্বাস্য জয় এনে দেন কলকাতাকে। ইডেন গার্ডেনের বেন স্টোকসের মতো মাথায় হাত দিয়ে মাঠে হতাশায় বসে পড়লেন গুজরাট টাইটানসের বোলার জস দয়াল। বল হাতে নেওয়ার আগে হয়ত এক পলকের জন্যও ভাবেননি এমন কিছু হতে পারে। যা ভাবেনি কেউ, তাই হয়েছে আহমেদাবাদে। গুজরাট টাইটানসকে তিন উইকেটে হারিয়েছে নিতিশ রানার দল।

টস জিতে আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ওভারে টাইটানস স্কোরবোর্ডে চার উইকেটে জমা করে ২০৪ রান। জবাবে সাত উইকেট হারিয়ে শেষ বলে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় শাহরুখ খানের কলকাতা। স্বাভাবিকভাবেই ২১ বলে ৪৮ রান করে ম্যাচ সেরার পুরস্কার উঠেছে রিংকুর হাতে।

গুজরাটের শুরুটা ছিল ধীরস্থির। দলীয় ৩৩ রানের মাথায় ১৭ বলে ১৭ রান করে আউট হন হৃদ্ধিমান শাহা। শুরুর এই সাফল্য আর ধরে রাখতে পারেনি কলকাতা। গুজরাটের হয়ে অসাধারণ ব্যাট করেন শুভমান গিল এবং সাই সুদর্শন। দুজনের জুটিতে ওঠে ৬৭ রান। গিল আউট হন ৩১ বলে ৩৯ রান করে।

গিল ফিরে গেলেও ফিফটি তুলে নেন সুদর্শন। ৩৮ বলে দুই ছক্কায় করেন ৫৩ রান। শেষ দিকে বিজয় শঙ্করের ২৪ বলের ৬৩ রানে দুইশ ছাড়ায় গুজরাটের ইনিংস। এ ছাড়া ৮ বলে ১৪ রান করেন অভিনব মনোহর।

কলকাতার পক্ষে সর্বোচ্চ তিন উইকেট নিয়েছেন সুনীল নারাইন। একটি শিকার সুয়াশ শর্মার।

বড় লক্ষ্য তাড়ায় শুরুটা ভালো হয়নি কলকাতার। দলীয় ২৮ রানের মধ্যে রহমানুল্লাহ গুরবাজ ১৫ এবং নারায়ণ জগদ্বিসান ৬ রান করে সাজঘরে ফেরেন। দলের হাল ধরেন নিতিশ রানা ও ভেঙ্কটেশ আইয়ার। দুজনে গড়েন ২৮ রানের জুটি। ততক্ষণে অবশ্য আস্কিং রান রেট থেকে কলকাতা পিছিয়ে যায় অনেকটাই।

১৭তম ওভারে রশিদ খান তিন বলে তিন উইকেট তুলে ম্যাচ পুরোপুরি নিজেদের দিকে নিয়ে নেন। শেষ দুই ওভারে ৪৮ রানের কঠিন সমীকরণ মিলিয়ে দলকে অবিশ্বাস্য জয় এনে দেন রিংকু।

গুজরাটের পক্ষে সর্বোচ্চ তিন উইকেট নিয়েছেন রশিদ। দুটি উইকেট পেয়েছেন আলজারি যোসেফ। একটি করে শিকার মোহাম্মদ শামি এবং জস লিটলের।