কাল থেকে ইয়েমেনে যুদ্ধবন্দি বিনিময়

ইয়েমেনে বিবদমান পক্ষগুলোর মধ্যে আগামীকাল থেকে যুদ্ধবন্দি বিনিময় শুরু হচ্ছে। টানা তিনদিনে দুইপক্ষের আট শতাধিক বন্দি মুক্তি পেতে যাচ্ছেন। যুদ্ধরত পক্ষগুলো এরইমধ্যে বন্দি বিনিময়ের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। সৌদি নেতৃত্বাধীন কোয়ালিশন সমর্থিত ইয়েমেন সরকারের এক কর্মকর্তা এ কথা জানিয়েছেন।

কাল থেকে ইয়েমেনে তিন দিনব্যাপী যুদ্ধবন্দি বিনিময় প্রক্রিয়া শুরু                               ফাইল ছবি

কোয়ালিশন সমর্থিক সরকার পক্ষের আলোচক মাজেদ ফাদিল জানিয়েছেন, যে বন্দিরা মুক্তি পেতে যাচ্ছেন, আন্তর্জাতিক রেডক্রস কমিটি (আইসিআরসি) এরইমধ্যে তাদের পরিচয় যাচাইবাছাই ও তালিকা চূড়ান্ত করেছে। আইসিআরসির উড়োজাহাজ বৃহস্পতিবার সকালে ইয়েমেন সরকারের কয়েক ডজন বন্দি কর্মকর্তাসহ হুথি-নিয়ন্ত্রিত সানা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে এডেনের পথে রওনা হবে।

হুথিদের হাতে বন্দি ইয়েমেনের সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী মোহাম্মদ আল-সুবাইহি, সাবেক প্রেসিডেন্ট আবদে রাব্বো মানসুর হাদীর ভাই নাসের মানসুর হাদী প্রথম দিনেই মুক্তি পাবেন। তাদেরকে যে উড়োজাহাজে এডেনে আনা হবে, সেটি ফিরতি পথে এডেন থেকে দুই শতাধিক হুথি যোদ্ধাকে সানায় নিয়ে যাবে।

এরপর শুক্র ও শনিবার আইসিআরসির উড়োজাহাজ সানা থেকে আরব কোয়ালিশনের বন্দি যোদ্ধা ও চার সাংবাদিককে নিয়ে ইয়েমেনের মারিব, এডেন ও মোখা বিমানবন্দর এবং সৌদি আরবের আভা ও রিয়াদ বিমানবন্দরে যাবে। এসব ফ্লাইট সংশ্লিষ্ট বিমানবন্দর থেকে আটক হুথি যোদ্ধাদের নিয়ে সানায় ফিরে যাবে।

গত মাসে সুইজারল্যান্ডে জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় অনুষ্ঠিত বৈঠকে ইয়েমেনে বিবাদমান দুই পক্ষ চার সাংবাদিক, উল্লেখযোগ্য সামরিক-বেসামরিক কর্মকর্তাসহ আট শতাধিক বন্দির মুক্তির বিষয়ে সমঝোতায় পৌঁছায়।

জেনেভায় ইয়েমেনের বিবাদমান পক্ষগুলোর সমঝোতার অব্যবহিত পরেই বেইজিংয়ে চীনের মধ্যস্থতায় সৌদি আরব ও ইরানের মধ্যে সম্পর্ক পুনঃপ্রতিষ্ঠার প্রক্রিয়া এগিয়ে যায়। রিয়াদ ও তেহরানের মধ্যকার শান্তি প্রক্রিয়ার সুবাতাস লাগে ইয়েমেনেও।

চলতি মাসের গোড়ার দিকে সৌদি সরকারের এক প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে হুথিরা দুই পক্ষের হাতে আটক সব বন্দির মুক্তি, তাইজ নগরীর ওপর অবরোধ প্রত্যাহার ও কোয়ালিশন সমর্থিক সরকারের নিয়ন্ত্রণাধীন দক্ষিণাঞ্চলীয় তেলক্ষেত্রগুলোতে হামলা বন্ধ করতে সম্মত হয়।

বিনিময়ে সৌদি কোয়ালিশন হুথিদের নিয়ন্ত্রণাধীন সানা বিমানবন্দর ও হোদেইদা সমুদ্রবন্দরে যাতায়াতের বাধা অপসারণ করবে, কোয়ালিশন সমর্থিত সরকার তেল বিক্রি বাবদ অর্জিত আয় হুথিদের সঙ্গে ভাগাভাগি করবে এবং হুথি নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলে সরকারি কর্মচারীদের বেতন পরিশোধ করবে।