ধোনির ২০০, নাটুকে হার চেন্নাইয়ের

তিন ওভারে ৫৬ রানের কঠিন সমীকরণ। অমন কঠিন চাপের মুহূর্তেও ভেঙে পড়েননি মহেন্দ্র সিং ধোনি ও রবিন্দ্র জাদেজা। দুজনের ব্যাটেই ওঠে ঝড়। তাদের ঝোড়ো ব্যাটিংয়ের সুবাদে ১৮তম ওভারে চেন্নাই সুপার কিংস নেয় ১৪ রান। পরের ওভারে ১৯। নড়েচড়ে বসেন দর্শকেরা। শেষ ওভারে চেন্নাইর দরকার ছিল ২১ রান। কিন্তু ধোনিরা নিতে পারলেন ১৭ রান।

শেষ ওভারে চেন্নাইর দরকার ছিল ২১ রান, কিন্তু ধোনিরা নিতে পারলেন ১৭

শেষ ওভারের প্রথম দুই বলে ওয়াইড দিয়ে বসেন সন্দীপ শর্মা। তৃতীয় বলটা হজম করেন ধোনি। পরের দুই বলে জোড়া ছক্কা হাঁকান চেন্নাই অধিনায়ক। সমীকরণ নেমে আসে তিন বলে সাত রানে। কিন্তু জয়ের খুব কাছে গিয়েই হতাশ করলেন ধোনি এবং জাদেজা। শেষ বলে পাঁচ রানের দরকার ছিল তাদের। ধোনি নিতে পারলেন এক রান।

মহানাটুকে জয়ে উল্লাসে মেতে ওঠে রাজস্থান রয়্যালস। বুধবার রাতে চিন্নস্বামী স্টেডিয়ামে সঞ্জু স্যামসনের দল ‍থ্রিলার ম্যাচ জিতল শেষ বলে; তিন রানের ব্যবধানে। চেন্নাইয়ের মাঠে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে আট উইকেটে ১৭৫ রানের চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ তোলে রাজস্থান। জবাবে ছয় উইকেটে ১৭২ রান তুলতে সক্ষম হয় চেন্নাই।

ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) চলতি মৌসুমে চার ম্যাচে এটা রাজস্থানের তৃতীয় জয়। এই জয়ে লখনৌ সুপার জায়ান্টসকে টপকে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে উঠল টুর্নামেন্টের প্রথম আসরের চ্যাম্পিয়নরা। চার ম্যাচের তিনটিতে জিতেছে লখনৌও। কিন্তু রানরেটে পিছিয়ে দুইয়ে নেমে গেছে তারা। চার ম্যাচের দুটিতে হেরে পাঁচে নেমেছে চেন্নাই।

ম্যাচ শেষে রাজস্থান রয়্যালস খেলোয়াড়দের সঙ্গে এমএস ধোনির সৌজন্যতা বিনিময় 

রাজস্থান রয়্যালস শক্তিশালী সংগ্রহ পেয়েছে চার ব্যাটারের ঝোড়ো ইনিংসে। জস বাটলার ৩৬ বলে ৫২, দেবদূত পাডিক্কাল ২৬ বলে ৩৮, রবিচন্দন অশ্বিন ২২ বলে ৩০ ও শিমরন হেটমায়ার ১৮ বলে ৩০* রান করেন। চেন্নাইয়ের পক্ষে দুটি করে উইকেট নেন আকাশ সিং, তুষার দেশপান্ডে ও জাদেজা।

ব্যাট হাতে ঝড় তোলা অশ্বিন আলো ছড়িয়েছেন বোলিংয়েও। চার ওভারে ২৫ রানে দুই উইকেট নেন ভারতীয় অলরাউন্ডার। ম্যাচ সেরার পুরস্কার উঠেছে তার হাতেই। ২৭ রানে দুটি শিকার যুভেন্দ্র চাহালের। এ ছাড়া একটি করে উইকেট পেয়েছেন সন্দীপ শর্মা ও অ্যাডাম জাম্পা। কুলদীপ সিং উইকেট না পেলেও দুই ওভারে আট রান দিয়ে চেন্নাইকে রেখেছেন আস্কিং রেটের চাপে।

কঠিন রান তাড়ায় দলীয় ১০ রানে রুতুরাজ গায়কোয়াড়ের উইকেট হারায় চেন্নাই। পরে ডেভন কনওয়ে ও আজিঙ্কা রাহানের ৬৮ রানের বিধ্বংসী জুটিতে ধাক্কা সামলে ওঠে ধোনির দল। ৩৮ বলে ৫০ রানে বিদায় নেন কনওয়ে। ১৯ বলে ৩১ রানে আউট হন রাহানে। এই দুজনের আউটের আগে জয়ের পথেই ছিল চেন্নাই।

দুজনের বিদায়ে পাল্টে যায় ম্যাচের রঙ। এক উইকেটে ৭৮ রান থাকা চেন্নাই ১১৬ রানের মধ্যে হারায় ছয় উইকেট। পরে জাদেজা ও ধোনি লড়াই করেন। ১৫ বলে ২৫ রানে অপরাজিত থাকেন জাদেজা। ১৭ বলে ৩২ রানের অজেয় ইনিংস এসেছে ধোনির ব্যাট থেকে। চেন্নাইর অধিনায়ক হিসেবে ২০০তম ম্যাচটাতে এর চেয়ে দারুণ খেলতে পারতেন না ধোনি। বিশেষ ম্যাচটা নিশ্চয়ই ভুলে যেতে চাইবেন তিনি।

পরবর্তী দিনের খেলা

১৩ এপ্রিল, পাঞ্জাব কিংস-গুজরাট টাইটান্স, রাত ৮টা।

দুই দলের পরবর্তী ম্যাচ

১৬ এপ্রিল, গুজরাট টাইটান্স-রাজস্থান রয়্যালস, রাত ৮টা।
১৭ এপ্রিল, রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু-চেন্নাই সুপার কিংস, রাত ৮টা।