সমালোচিত শাদাবের পাশে বাবর

‘মাঝে মধ্যে এমনটা হতেই পারে। শাদাব এখন বাজে সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু সবচেয়ে খারাপ অবস্থা থেকে উঠে আসতে পারা হলো ভালো ক্রিকেটারের গুণ। আশা করি সেও শিগগির স্বরূপে ফিরবে এবং নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজেই সে সেটা করবে।’ জিও নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎতারে শাদাবকে নিয়ে কথাগুলো বলছিলেন বাবর আজম। চারদিক থেকে যখন একের পর এক সমালোচনার তীর ধেয়ে আসছিলো তখন শাদাবের পাশে ঢাল হয়ে দাঁড়ালেন বাবর।

শাদাবের পাশে দাঁড়ালেন বাবর

ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিততে পারেনি পাকিস্তান। পাঁচ ম্যাচ সিরিজের এক ম্যাচের ফলাফল হয়নি। বাকি চার ম্যাচে সমান দুটি জয়ে সিরিজ ড্র করে দুই দল। অথচ প্রথম দুই ম্যাচ জিতে সিরিজে এগিয়ে ছিল পাকিস্তান। তারপরও সুযোগ ছিল শেষ ম্যাচ জিতে সিরিজ জেতার। সেটা হয়নি মূলত কিউই ব্যাটার মার্ক চাপম্যানের জন্য।

পঞ্চম টি-টোয়েন্টিতে নিউজিল্যান্ডকে জয়ের জন্য ১৯৪ রান টার্গেট দিয়েছিল পাকিস্তান। রান তাড়া করতে নেমে ২৬ রানে তিন উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে নিউজিল্যান্ড। দলীয় ৭৪ রানে আরও এক উইকেট হারায় কিউইরা। তখন পাকিস্তানের জয়ের পাল্লাই বেশি ভারী ছিল। সেখান থেকে দলকে প্রায় একাই জিতিয়ে দেন চাপম্যান। তার ৫৭ বলে ১০৪ রানের ইনিংসে অবদান আছে শাদাব খানেরও। কারণ ৬৭ রানের মাথায় তার সহজ ক্যাচ ফেলে দেন শাদাব। ক্যাচটা নিতে পারলে ম্যাচের ফলাফল অন্যরকম হতে পারতো। সেটা না হওয়াতে সমালোচনার শিকার হচ্ছেন পাকিস্তানি অলরাউন্ডার।

শাদাবের ক্যাচ ফেলায় বেশি করে চোখে লেগেছে তার বোলিং এবং ব্যাটিং পারফর‌ম্যান্স। কারণ দুই বিভাগেই কিছুদিন ধরে নিজেকে হারিয়ে খুঁজছেন তিনি। ওই ম্যাচে দুই ওভার বল করে ২৯ রান দিয়েছেন। সিরিজে গুরুত্বপূর্ণ সময়ে ব্যাটিয়ে নেমেও সুবিধা করতে পারেননি। প্রায় প্রতি ম্যাচে তার হাতে ব্যাট কথা বলেনি। সবকিছু মিলিয়ে পাকিস্তান ক্রিকেটে শাদাব এই মুহূর্তে আলোচিত-সমালোচিত ক্রিকেটার।

শাদাব কঠিন সময়ে অবশ্য পাশে পাচ্ছেন অধিনায়ক বাবর আজমকে। পাকিস্তান অধিনায়ক জিও নিউজকে বলেন, ‘এটি একটি কঠিন ধাক্কা ছিল। সেই সময় চ্যাপম্যানের উইকেট পাকিস্তানকে সুবিধা দিতে পারত। কিন্তু কোনো খেলোয়াড়ই ইচ্ছাকৃতভাবে ক্যাচ ফেলে না। তাই শাদাবকে নিয়ে আলাদা করে কিছু বলা, তাকে ট্রল করা আমি সমর্থন করি না।’

বাবর আরও বলেন, ‘আমরা শেষ কয়েক ওভারে আরও ১৫-২০ রান যোগ করতে পারতাম। আমরা দুর্দান্ত শুরু করেছি এবং শেষ দশ ওভারে আমরা রান করার পথে ছিলাম। কিন্তু ইনিংসের একদম শেষে গিয়ে আমরা খেই হারিয়ে ফেলি। সেঞ্চুরির কাছাকাছি এলে একজন খেলোয়াড়ের চাপে পড়া স্বাভাবিক। এর জন্য আপনি রিজওয়ানকে দোষ দিতে পারেন না। তার ব্যাটিংই পাকিস্তানকে ২০০ রানের কাছাকাছি নিয়ে গেছে।’

নিজের অধিনায়কত্ব প্রসঙ্গে বাবর বলেন, ‘একটা ম্যাচ চলাকালীন আমি যে সিদ্ধান্ত নেই তা বিশ্লেষণ করা আমার অভ্যাস হয়ে গেছে। কখনও কখনও আমি অনুভব করি যে আমি সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছি কিন্তু যখন তার ফলাফল অন্যরকম হয়, তখন আমি ওটা পুনরাবৃত্তি না করার চেষ্টা করি।’