বাইডেনের হুঁশিয়ারি: তবে কিমকে ক্ষমতা থেকে ‘ছুড়ে ফেলা হবে’

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, পরমাণু হামলা চালালে উত্তর কোরিয়ার নেতৃত্বকে ক্ষমতা থেকে ছুড়ে ফেলে দেওয়া হবে। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের শঙ্কা বৃদ্ধির প্রেক্ষিতে এ হুঁশিয়ারি দিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। খবর এএফপি।

বাইডেন ও ইউন সুক ইওল

খবরে বলা হয়, হোয়াইট হাউসে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওলের সঙ্গে বৈঠকের পর স্থানীয় সময় বুধবার আয়োজিত এক যৌথ সম্মেলনে এই হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়। সেখানে উভয় নেতা সতর্ক করে বলেন, পিয়ংইয়ং তার নিজস্ব অস্ত্রাগার ব্যবহার করলে দেশটি পুরো বিশ্ব থেকে পারমাণবিক প্রতিক্রিয়ার সম্মুখীন হবে এবং উত্তর কোরিয়ার নেতৃত্বের শাসনের ‘অবসান’ করা হবে।

তারা বলেন, পরমাণু অস্ত্রে সজ্জিত উত্তর কোরিয়ার আগ্রাসী ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার প্রতিক্রিয়ায় দক্ষিণ কোরিয়ার জন্য মার্কিন নিরাপত্তা ঢালকে আরও শক্তিশালী করা হচ্ছে। এ অবস্থায় বাকি বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন উত্তর কোরিয়ার নেতা যদি দক্ষিণ কোরিয়া বা যুক্তরাষ্ট্রে আক্রমণ চালায়, তাহলে তার প্রতিক্রিয়া হবে এককথায় বিধ্বংসী।

উত্তর কোরিয়ার পরমাণু অস্ত্র, ফাইল ছবি

যৌথ ওই সংবাদ সম্মেলনে প্রেসিডেন্ট বাইডেন বলেন, যুক্তরাষ্ট্র বা তার মিত্র দেশগুলোর বিরুদ্ধে কোনো ধরনের পরমাণু হামলা চালানো হলে উত্তর কোরিয়ায় যে ধরনের শাসনব্যবস্থাই থাকুক না কেন, তার অবসান করানো হবে।

অন্যদিকে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন বলেন, উত্তর কোরিয়া পরমাণু হামলা চালালে যুক্তরাষ্ট্রের পারমাণবিক অস্ত্রসহ জোটের পূর্ণ শক্তি ব্যবহার করে দ্রুত, অপ্রতিরোধ্য ও বিধ্বংসীভাবে প্রতিক্রিয়া জানাতে সম্মত হয়েছে ওয়াশিংটন ও সিউল।

যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে ৭০তম বার্ষিকী উদযাপনের লক্ষ্যে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্টকে যুক্তরাষ্ট্রে আমন্ত্রণ জানান মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। সেখানে ইউক্রেন যুদ্ধ, জলবায়ু পরিবর্তন, সাইবার সহযোগিতাসহ দ্বিপাক্ষিক নানা বিষয়ে আলোচনা করেন তারা। এরই অংশ হিসেবে উত্তর কোরিয়ার পরমাণু হামলার বিষয়টিও আলোচনায় ওঠে আসে।

এদিকে উত্তর কোরিয়ার যে কোনো ধরনের হামলার ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র দক্ষিণ কোরিয়াকে সহায়তা দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়েছে। তবে এর বিনিময়ে দক্ষিণ কোরিয়া কোনো ধরনের পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করবে না বলে সম্মত হয়েছে। বাইডেন বলেছেন, ‘ওয়াশিংটন ঘোষণা’ নামে এ চুক্তিটি উত্তর কোরিয়ার আক্রমণ প্রতিরোধে মিত্রদের সহযোগিতাকে বহুগুণে শক্তিশালী করবে।