২৫ হাজার বছর আগের কানের দুল

আজ থেকে ২৫ হাজার বছর আগেও কানে দুল কিংবা গলায় লকেট পরতেন নারীরা। হরিণের দাঁত দিয়ে তৈরি এমনই একটি দুল খুঁজে পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। আর ওই দুলটি যে নারী ব্যবহার করতেন, ডিএনএ পরীক্ষায় জানা গেছে তার সম্পর্কেও।

২৫ হাজার বছর আগে এক নারীর ব্যবহৃত কানের দুল

কোনো বিজ্ঞানী বা গবেষকের জন্য সবচেয়ে বড় পুরস্কার হচ্ছে অপ্রত্যাশিত আবিষ্কারের আনন্দ। সেই আনন্দই অনুভব করছিলেন জোসেফ বোটিং- লুসি মুইর দম্পতি। এই গবেষক দম্পতিই খুঁজে পেয়েছেন প্রস্তরযুগের এক নারীর কানের দুল।

ওয়েলসের আমগুয়েড্ফা সিমরু মিউজিয়ামের রিসার্চ ফেলো বোটিং ও লুসি দক্ষিণ সাইবেরিয়ার ডেনিসোভা গুহায় খুঁজে পান হরিণের দাঁতের কানের দুলটি। দুলটির একপাশে ছিদ্র করা।

বোটিং- লুসি দম্পতিসহ ইউরোপীয় গবেষকদের একটি দল প্রথমবারের মতো ‘নন-ইনভেসিভ কৌশল’ অবলম্বন করে প্রস্তর যুগের ওই নিদর্শন থেকে সফলভাবে মানব ডিএনএ বিচ্ছিন্ন করেন।

যুগান্তকারী বিশ্লেষণ সম্পর্কে বিজ্ঞানীরা জানান, ডেনিসোভা গুহায় পাওয়া দুলটি ত্বকের কোষ ও ঘাম থেকে জেনেটিক উপাদান শোষণ করেছিল এবংতা ধরে রাখতে দাঁতটি যথেষ্ট ছিদ্রযুক্ত ছিল।

গবেষকরা জানান, ১৯ হাজার থেকে ২৫ হাজার বছর আগে দুলটি ব্যবহার করেছিলেন একজন নারী, যিনি প্রস্তর যুগের এবং নিয়ান্ডারথালদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে সম্পর্কিত, যারা সাইবেরিয়ার পাদদেশে ওই প্রাচীন গুহার আশপাশে বসবাস করতো। প্রারম্ভিক এই মানব প্রজাতি ছিল শিকারী। নিয়ান্ডারথালরা নিজেদের জীবাশ্ম ছাড়াও ব্যবহৃত অনেক সরঞ্জাম ও অলঙ্কার রেখে গেছে।

বিজ্ঞানীরা জানান, ডিএনএ আহরণের জন্য তাদের আবিষ্কৃত নতুন নন-ইনভেসিভ পদ্ধতি প্রস্তর যুগের বা নিয়ান্ডারথালদের সম্পর্কে আরও জানার জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে।

সূত্র: সিএনএন ও গার্ডিয়ান।