আপনি পড়ছেন

সৌদি আরবের একটি পরিবার তাদের বাংলাদেশি কর্মীর বিয়ে উপলক্ষে জৌলুসপূর্ণ রিসেপশন আয়োজন করে মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে সাড়া ফেলেছে। আল-আরাবিয়া টিভি থেকে শুরু করে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম, ইউটিউব চ্যানেল ও সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক আলোচনা হচ্ছে বিষয়টি নিয়ে। মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকার আরবি ভাষাভাষী দেশগুলোতে মানুষ ভূয়সী প্রশংসা করছে সৌদি পরিবারটির।

saudi expatriateরিসেপশন অনুষ্ঠানে নিয়োগদাতার ছেলেদের সঙ্গে জহির, ছবি ইস্ট গেটের সৌজন্যে

জানা গেছে, রিয়াদের কাছাকাছি আল-খারাজ এলাকার একটি কফি হাউসে কাজ করেন জহির। পাঁচ বছর আগে তিনি সৌদি আরব যান। এই সময়ে নিয়োগদাতা (কফিল) ও তার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে ওঠে জহিরের।

সম্প্রতি দেশে ফিরে জহির বিয়ে করেন। বিয়ের কিছুদিন পর তিনি সৌদি আরবে ফিরে যোগ দেন কর্মস্থলে। এ সময় তিনি নিজের স্ত্রীকে সৌদিতে নিয়ে যেতে চান বলে কফিলকে জানান। কফিলের পরিবারের সদস্যরাও তাদের বিশ্বস্ত কর্মীর ইচ্ছাপূরণের পক্ষে সায় দেন।

বিভিন্ন মাধ্যমে শেয়ারকৃত ভিডিওগুলোতে দেখা যায়, শেরওয়ানি, জোব্বা পরিয়ে জহিরকে প্রথাগত সৌদি সাজে সাজিয়ে বসানো হয় বরের গাড়িতে। বিলাসবহুল গাড়ির দীর্ঘ বহর নিয়ে বর যান রিসেপশন ভেন্যুতে। আরব বিয়েগুলোতে বর ও তার বন্ধুরা সারিবদ্ধ হয়ে ডাবকা নৃত্যে অংশ নিয়ে থাকেন। জহিরের জন্য আয়োজনে কমতি থাকবে কেন? তার রিসেপশনেও হাতে হাত বেঁধে ডবকা নেচেছেন নিয়োগদাতার সন্তান, আত্মীয়-স্বজনসহ শতাধিক মানুষ।

পুরো আয়োজনে একাত্ম হয়ে যোগ দেন নিয়োগদাতার পরিবারের সদস্যরা। বরযাত্রা, দফ বা প্রথাগত আরবি বাদ্য বাজিয়ে ডবকা নাচ ও অন্যান্য আনন্দঘন আনুষ্ঠানিকতার ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সৌদিতে অভিবাসী কর্মী ও স্থানীয়দের মধ্যে।

জহিরের নিয়োগদাতা কফিল মোহাম্মাদ আল-কামকুম বলেন, জহির পাঁচ বছর ধরে আমাদের পরিবারের সঙ্গে কাজ করছে। সে অত্যন্ত বিশ্বস্ত, আস্থাভাজন ও কাজের প্রতি অনুরক্ত মানুষ। সম্প্রতি সে বাংলাদেশে বিয়ে করার পর আমরা তার স্ত্রীকে সৌদিতে নিয়ে আসার ব্যবস্থা করি এবং তাদের জন্য রিসেপশন আয়োজন করি।

বিষয়টি নিয়ে জহির আল-আরাবিয়া টিভির অনুষ্ঠানে বলেন, আমি নিয়োগদাতার মানবিক উদ্যোগে আপ্লুত, আনন্দিত। আমি সৌদি আরবকে ভালোবাসি। সৌদিতে একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলাম। অনুষ্ঠানটি আমার খুব ভালো লেগেছিল। মনে হয়েছিল, আমি যদি এভাবে বিয়ে করতাম! এবার সে ইচ্ছাটা পূরণ হয়ে গেল।