আপনি পড়ছেন

ফরাসি বার্তা সংস্থা এজেন্সি ফ্রান্স-প্রেস (এএফপি) সিরিয়ার প্রেসিডেন্টের স্ত্রী আসমা আল আসাদের ফুলসহ একটি ছবি তুলে সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করায় ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছে।

asma al assad harvesting rosesগোলাপ ক্ষেতে আসমা আল আসাদ

আসমা আল আসাদের ছবিটি ২৫ মে লেবাননের সীমান্তের কাছে কালামউন অঞ্চলের আল মারাহ গ্রামে তোলা হয়েছিল। সাদা পোশাক পরা, ৪৭ বছর বয়সী সিরিয়ার ফার্স্টলেডিকে সিরিয়ান অভিনেতা সুলাফ ফাওয়াখেরজি এবং মুস্তাফা আল খানির সঙ্গে হাসিমুখে ফুল তুলতে দেখা যায়।

এএফপির লেবানন-সিরিয়া ব্যুরো প্রধান অ্যাসিল তাব্বারা ২৫ মে ছবিটি টুইটারে শেয়ার করেছিলেন। ছবিতে এএফপির লোগোও ছিল। এটির ক্যাপশন লেখা ছিল,’সিরিয়ার ফার্স্টলেডি আসমা আল আসাদ দামেস্কের আল মারাহ গ্রামে দামাসেনা (দামাস্ক) গোলাপ তুলছেন।'  পরে অবশ্য তিনি তার টুইটার পেজ থেকে ছবিটি সরিয়ে ফেলেছেন।

তবে এএফপির ওয়েবসাইটে আসমা আসাদের এক ডজনেরও বেশি ছবি, সেইসঙ্গে গোলাপের ক্ষেতে তার একটি ভিডিও রয়ে গেছে। টুইটার ব্যবহারকারীরা বার্তা সংস্থাটির ছবি শেয়ার এবং সমালোচনা অব্যাহত রেখেছেন।    

তাদের অভিযোগ, এ ছবির মাধ্যমে এএফপি আসমা আল আসাদের ভাবমূর্তি ইতিবাচকভাবে তুলে ধরার চেষ্টা করছে। অথচ বাশার আল আসাদ সিরিয়ায় যে যুদ্ধাপরাধ করেছেন তার জন্য তার স্ত্রীও কম দায়ী নন। তিনি তার স্বামীর কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে কোনো কথা না বলে তাকে নীরবে সমর্থন করেছেন। 

২৫ মে সিরিয়ার প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ের টুইটার অ্যাকাউন্টেও ফুলের বাগানে আড্ডারত আসমা আসাদকে নিয়ে এএফপির একটি ভিডিও শেয়ার করা হয়েছে। ভিডিওতে তাকে আরও কয়েকজনের সঙ্গে খাবার খেতে এবং আলাপ করতে দেখা যায়।  

টুইটারে একজন লিখেছেন, মানুষ যখন খাদ্য সংকটের কারণে পর্যাপ্ত খাবার পাচ্ছেন না, তখন সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট গোলাপ ফুলের চাষ করছেন। 

সিরিয়ার গৃহযুদ্ধের আগে পশ্চিমা গণমাধ্যম আসমা আল আসাদের অনেক প্রশংসা করত। তাকে প্রগতিশীল হিসেবে প্রচার করা হত। এমনকি পশ্চিমাদের কাছে তিনি ছিলেন ‘মরুভূমির গোলাপ’। কিন্তু এখন তাকে জাহান্নামের ফার্স্টলেডি হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।

মধ্যপ্রাচ্যের রাজনীতির একজন বিশেষজ্ঞ মনিকা মার্কস এএফপির এই ছবিটিকে ২০১১ সালের মার্কিন ফ্যাশন ম্যাগাজিন ভোগের একটি ফিচারের সঙ্গে তুলনা করেছেন। ওই ফিচারের শিরোনাম ছিল, ‘আসমা আল আসাদ: মরুভূমিতে একটি গোলাপ’।

উল্লেখ্য, ২০১১ সালে সিরিয়ার গৃহযুদ্ধ শুরু হয়। ১২ বছর ধরে চলমান এই যুদ্ধে ৫ লাখের বেশি সিরিয়ান মারা গেছেন এবং আরও লক্ষাধিক মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়ে প্রতিবেশি দেশগুলোতে শরণার্থী হিসেবে আশ্রয় নিয়েছেন। 

সূত্র: দ্য নিউ আরব

Get the latest world news from our trusted sources. Our coverage spans across continents and covers politics, business, science, technology, health, and entertainment. Stay informed with breaking news, insightful analysis, and in-depth reporting on the issues that shape our world.

360-degree view of the world's latest news with our comprehensive coverage. From local stories to global events, we bring you the news you need to stay informed and engaged in today's fast-paced world.

Never miss a beat with our up-to-the-minute coverage of the world's latest news. Our team of expert journalists and analysts provides in-depth reporting and insightful commentary on the issues that matter most.