প্রধানমন্ত্রী: ইউরোপের মতো দুরবস্থায় বাংলাদেশ পড়বে না

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশ এখনও ইউরোপের দেশগুলোর মতো দুরবস্থায় পড়েনি, কখনও পড়বেও না।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

৪ জুন, রোববার সকালে ঢাকা-চিলাহাটি রুটে ‘চিলাহাটি এক্সপ্রেস’ ট্রেনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা প্রত্যেক ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ দিয়েছিলাম কিন্তু এখন বিশ্বব্যাপী গ্যাস-তেল-কয়লা দাম বেড়ে যাওয়াতে বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। আমি জানি এই গরমে মানুষের একটু কষ্ট হচ্ছে। একদিকে মূল্যস্ফীতি, অন্যদিকে বিদ্যুৎ নেই- এই দুটি কষ্ট দেশের মানুষ পাচ্ছে। এটাও বাস্তব যে একবার যদি পাংখায় বাতাস খাওয়ার অভ্যাস হয়ে যায় তারপরে সেটা না পেলে আরও কষ্ট হয়!

শেখ হাসিনা আরও বলেন, যুদ্ধ যদি না বাধতো আর স্যাংশন যদি না থাকত তাহলে আমরা এমন সমস্যায় পড়তাম না। আমরা ঠিকই দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারতাম। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্বের প্রত্যেকটা দেশের মানুষ কষ্ট পাচ্ছে।

ইউরোপের প্রসঙ্গ টেনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ইউরোপের মতো দেশগুলোও দুরবস্থায় পড়েছে। গত শীতে তারা গরম পানি ব্যবহার করতে পারেনি। হিটিং বন্ধ করে রাখতে হয়েছে। কারণ সবকিছু বিদ্যুতে চলে। এমনকি কেনাকাটায় খরচ কমিয়ে এনেছে। একটি পরিবার ৬টির বেশি ডিম কিনতে পারবে না। ১ লিটারের বেশি তেল কিনতে পারবে না, ৩টার বেশি টমেটো কিনতে পারবে না। এমন অবস্থার মধ্য দিয়ে ইউরোপের দেশগুলো যাচ্ছে।

বাংলাদেশ কিন্তু এমন দুরবস্থায় এখনও পড়েনি, আশা করি পড়বেও না। এই পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে দেশের মানুষকে একটা কাজ করতে হবে, সেটা হলো- আমাদের সব অনাবাদি জমিকে ব্যবহার করতে হবে। উৎপাদন বাড়াতে হবে, বলেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য আমরা যে বাজেট দিয়েছি, সেটা ইতিহাসের সব থেকে বড় বাজেট। ২০০৬ সালে বিএনপি বাজেট দিয়েছিল মাত্র ৬১ হাজার কোটি টাকার। আর এবার আমরা বাজেট দিয়েছি ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকার। এই বাজেট বাস্তবায়ন করতে আমরা দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ এবং আমরা তা পারব। আওয়ামী লীগ পারবে।