কিউবার সঙ্গে যৌথ সামরিক প্রশিক্ষণ: স্বীকার করল চীন

অবশেষে কিউবার সঙ্গে যৌথ সামরিক প্রশিক্ষণের বিষয়টি স্বীকার করেছে চীন। বেইজিং আজ সোমবার এক বিবৃতিতে বিষয়টি পরিষ্কার করেছে। এর আগে এনিয়ে ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল এক প্রতিবেদন প্রকাশ করলে যুক্তরাষ্ট্রের টনক নড়ে। কিউবা ও যুক্তরাষ্ট্র প্রতিবেদনের তথ্যকে অস্বীকার করে। এখন চীন বলছে, এ অঞ্চলে পারস্পরিক আস্থা ও আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা জোরদার করতে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। এজন্য চীন কিউবার সঙ্গে যৌথ সামরিক প্রশিক্ষণের বিষয়টি ভাগ করে নিতে চায়। খবর আনাদোলু।

কিউবান অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতা চায় বেইজিং

বিবৃতিতে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাও নিং বলেন, চীন একাধিকবার নিজ অবস্থান স্পষ্ট করেছে। তিনি চীন ও কিউবার যৌথ সামরিক প্রশিক্ষণ নিয়ে মার্কিন রাজনীতিবিদদের উদ্বেগের জবাব দেন। তিনি বলেন, বেইজিং আশা করে, দেশগুলোর উচিত পারস্পরিক আস্থা বৃদ্ধি এবং আঞ্চলিক শান্তি, স্থিতিশীলতা এবং উন্নয়নকে শক্তিশালী করার ওপর আরও বেশি মনোযোগ দেওয়া।

ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, কিউবায় একটি যৌথ সামরিক প্রশিক্ষণ ঘাঁটি প্রতিষ্ঠার জন্য কিউবার সঙ্গে আলোচনায় নিযুক্ত রয়েছে চীন। এ বিষয়টি ওয়াশিংটনে উদ্বেগ বাড়িয়েছে, কারণ তারা মনে এই অঞ্চলে চীন সেনা মোতায়েন করতে চায়।

বর্তমান ও সাবেক মার্কিন কর্মকর্তাদের উদ্ধৃত করে ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছিল, বাইডেন প্রশাসন চীনের পরিকল্পনা বাস্তবায়নে বাধা দেওয়ার প্রয়াসে কিউবান কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেছে। তবে প্রতিবেদনের এ তথ্য ওয়াশিংটন ও কিউবা অস্বীকার করে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, কিউবার উত্তর উপকূলে ওই সামরিক প্রশিক্ষণ ঘাটিঁ স্থাপনের বিষয়ে আলোচনা একটি অগ্রসর পর্যায়ে পৌঁছেছে, তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি। এটা করতে চীন কিউবাকে বিলিয়ন ডলারের সহায়তা দিতে চায়। প্রথম দিকে বাইডেন প্রশাসনও বলেছিল প্রতিবেদনে তথ্যগুলো অতিরঞ্জিত করা হয়েছে। কারণ ওয়াশিংটন এই এলাকায় চীনের তৎপরতা নিয়ে গোয়েন্দা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।