অক্সিজেন দেওয়ার সময় শিশুর নাকের পর্দা ছিঁড়ে ফেলার অভিযোগ

অক্সিজেন দেওয়ার সময় এক নবজাতক শিশুর নাকের পর্দা (নাকের দুই ফুটোর মাঝের অংশ) ছিঁড়ে ফেলার অভিযোগ উঠেছে ডাক্তারদের বিরুদ্ধে। ৮ জুলাই, শনিবার সন্ধ্যায় নবজাতকের বাবা রাসেল সরকার এ অভিযোগ করেন। নারায়ণগঞ্জের প্রো-অ্যাক্টিভ মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে।

প্রো-অ্যাক্টিভ মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতাল

নবজাতকের পরিবারের অভিযোগ, শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যা হওয়ায় ২২ জুন নবজাতক শিশুকে প্রো-এক্টিভ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান তারা। সেখানে নবজাতককে লাইফ সাপোর্টে ভর্তির জন্য সুপারিশ করেন চিকিৎসক ডা. জাহিদুল হাসান।

লাইফ সাপোর্টে নবজাতকের সি-পাপ মেশিন দিয়ে অক্সিজেন দেওয়া হয়। ওই মেশিন দিয়ে অক্সিজেন দেওয়ার সময় নবজাতকের নাকের পর্দা ছিঁড়ে ফেলেন চিকিৎসকরা।

নবজাতকের বাবা রাসেল সরকার বলেন, চিকিৎসক জাহিদুল হাসানের পরামর্শে আমার বাচ্চাকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়। পরে ১ জুলাই তাকে লাইফ সাপোর্ট থেকে সরিয়ে এনআইসিইউতে নেওয়া হয়। বাচ্চার অবস্থা কিছুটা ভালো হলে দুধ খাওয়ানোর জন্য কোলে নিয়ে তার মা দেখেন বাচ্চার নাকের দুই ফুটোর মাঝের অংশ ছেড়া। অথচ সাত দিন শিশুটি চিকিৎসকদের তত্বাবধানে ছিল। তারা এ বিষয়টা একবারও আমাদের জানাননি।

এ বিষয়ে ডা. জাহিদুল হাসানের বরাতে হাসপাতালের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার মো. রাশিদুল ইসলাম বলেন, শিশুদের শরীর অনেক বেশি নরম হওয়ায় এই সমস্যাটি হয়েছে। অনেক বাচ্চাদের ক্ষেত্রেই এমনটা হয়। এমনটা হলে সাধারণত ছয়মাস বয়স থেকে পুনরায় জোড়া লেগে যায়। যদি কোনো কারণে জোড়া না লাগে তখন প্লাস্টিক সার্জারির প্রয়োজন পড়ে।

ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার মো. রাশিদুল ইসলাম আরও বলেন, শিশুটি লাইফ সাপোর্টে ছিল। আমাদের প্রথম প্রায়োরিটি ছিল তাকে বাঁচানো। তাই শিশুটি বর্তমানে অনেকটাই সুস্থ। নাকের পর্দা ছিঁড়ে যাওয়ার বিষয়টি গোপন করা হয়েছে বিষয়টা এমন নয়, হয়তো সঠিক সময়ে পরিবারকে জানানো হয়নি। আমরা ওই নবজাতককে বাঁচানোর দিকে গুরুত্ব দিয়েছিলাম।