আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় বললেন থিরিমান্নে

শ্রীলঙ্কার হয়ে সবশেষ ওয়ানডে খেলেছিলেন প্রায় চার বছর আগে। টেস্ট দলেও নেই বছর দেড়েক ধরে। এমন পরিস্থিতিতে জাতীয় দলে ফেরার স্বপ্ন দেখার কথা নয়। হয়েছেও তাই, ২২ জুলাই, শনিবার ফেসবুকে এক স্ট্যাটাসে এক যুগের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের ইতি টেনেছেন শ্রীলঙ্কার অভিজ্ঞ ব্যাটার লাহিরু থিরিমান্নে।

লাহিরু থিরিমান্নে

আধুনিক ক্রিকেটের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এগিয়ে চলছে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট। দেশের রাজনৈতিক অস্থিরতা ছাপিয়ে ক্রিকেট এগিয়ে চলছে দারুণভাবে। তরুণ ক্রিকেটারদের হাত ধরে ভারতের মাটিতে হতে যাওয়া ওয়ানডে বিশ্বকাপে জায়গা করে নেয় শ্রীলঙ্কা। সবমিলিয়ে থিরিমান্নেকে ছাড়া ভালোই চলছে লঙ্কানদের পথচলা। জাতীয় দল থেকে বাদ পড়ার পর এবার হঠাৎ করে অবসরের সিদ্ধান্ত জানালেন তিনি।

শ্রীলঙ্কার জার্সিতে প্রতিনিধিত্ব করতে পারাকে সম্মানের বিষয় মনে করেন থিরিমান্নে। স্ট্যাটাসে থিরিমান্নে বলেন, ‘গত কয়েকবছর ধরে জাতীয় দলের প্রতিনিধিত্ব করতে পারা আমার জন্য অনেক সম্মানের। এই খেলাটি আমাকে বছরের পর বছর অনেক কিছু দিয়েছে। অনেক মিশ্র অনুভূতি নিয়ে আমি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় ঘোষণা করছি। খেলোয়াড় হিসেবে আমি আমার সেরাটা দিয়েছি, খেলাকে সম্মান করেছি এবং আমার মাতৃভাষার প্রতি সততা ও নৈতিক দায়িত্ব পালন করতে পেরে আমি আনন্দিত।’

অনেকদিন ধরে জাতীয় দলের জার্সিতে না খেললেও অবসরের সিদ্ধান্ত নেওয়া সহজ ছিলো না থিরিমান্নের কাছে। বেশকিছু কারণে অবসরের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলেও জানান তিনি। থিরিমান্নে বলেন, ‘এটি (অবসর) একটি কঠিন সিদ্ধান্ত ছিল। অনেক অপ্রত্যাশিত কারণ রয়েছে, যা আমাকে ইচ্ছে বা অনিচ্ছায় এই সিদ্ধান্ত নিতে প্রভাবিত করেছে।’

এক যুগের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে নানান উত্থান - পতনের মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে থিরিমান্নেকে। এই সময়ে যাদের পাশে পেয়েছিলেন তাদের ধন্যবাদ জানিয়ে থিরিমান্নে বলেন, ‘আমি শ্রীলঙ্কার বোর্ড সদস্য, কোচ, সতীর্থ, ফিজিওদের ধন্যবাদ জানাতে চাই। এছাড়াও আমার ভক্ত, সমর্থক, সাংবাদিকদের ধন্যবাদ জানাতে চাই, যারা আমাকে ভালোবাসা, সমর্থন ও অনুপ্রেরণা জুগিয়েছিল। আমি সবার কাছে চির কৃতজ্ঞ।’

১২ বছরের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে দেশের হয়ে ৪৪ টেস্টে ২৬.৪৩ গড়ে ২০৮৮, ১২৭ ওয়ানডে ম্যাচে ৩৪.৭১ গড়ে ৩১৯৪ ও ২৬টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ১৬.১৬ গড়ে ২৯১ রান করেন লাহিরু থিরিমান্নে। এছাড়াও ৫টি ওয়ানডে ম্যাচে নেতৃত্বও দিয়েছেন থিরিমান্নে।