কঠিন পরিস্থিতিতে তামিম ইকবাল খান

পিঠের পুরোনো চোটে ভুগছেন তামিম ইকবাল খান। এজন্য আফগানিস্তানের বিপক্ষে একমাত্র টেস্ট ম্যাচ খেলতে পারেননি। অভিমানের জেরে আফগানদের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ চলাকালীন আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণাও দিয়েছিলেন। এজন্য হাশমতউল্লাহ শাহিদিদের বিপক্ষে শেষ দুই ওয়ানডেতেও ছিলেন না তামিম।

পিঠের চোটে ভুগছেন বাঁহাতি ওপেনার

অবশ্য অবসরের একদিন পরই প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে নিজের সিদ্ধান্ত থেকে ফিরে আসেন তামিম। বর্তমানে সপরিবারে দেশের বাইরে ছুটি কাটাচ্ছেন বাঁহাতি ওপেনার। ছুটি শেষে পিঠের চোটের চিকিৎসা করাতে ইংল্যান্ড যাবেন এই অভিজ্ঞ ক্রিকেটার।

চোট থেকে সেরে উঠতে তামিমের হাতে তিনটা অপশন আছে। এগুলো হলো ইনজেকশন, রিহ্যাবিটেশন ও অপারেশন। এক ইংলিশ গণমাধ্যমকে নাম প্রকাশ না করা শর্তে এমনটাই জানিয়েছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড, বিসিবির এক কর্মকর্তা।

অপারেশন করলে অন্তত চার মাসের মতো মাঠের বাইরে থাকবে হবে তামিমকে। সেক্ষেত্রে এশিয়া কাপ এবং ওয়ানডে বিশ্বকাপে খেলতে পারবেন না তিনি। তাই এই দুটি টুর্নামেন্টে অংশ নিতে চাইলে প্রথম দুটি অপশনের মধ্যে যেকোনো একটা বেঁছে নিতে হবে তামিমকে। যদিও ইনজেকশন কিংবা রিহ্যাবিটেশনের মাধ্যমে পিঠের চোট থেকে তামিম কতদিন মুক্ত থাকতে পারবেন সেটা নিশ্চিত নয়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিসিবির ওই কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে বলেন, ‘ইনজুরি থেকে সেরে উঠতে তামিমের জন্য তিনটা সমাধান- ইনজেকশন, রিহ্যাবিটেনশন ও অপারেশন। তামিমের যে চোট তাতে অপারেশন করা লাগতে পারে। যদিও এটা হতে পারে ওই প্রক্রিয়ার সবশেষ সমাধান। কারণ এই মুহূর্তে সার্জারি করালে তাকে কমপক্ষে চার মাসের জন্য মাঠের বাইরে থাকতে হবে।’

বিসিবির ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘এই মুহূর্তে অপারেশন সম্ভব কিনা সেটাই সবচেয়ে বড় প্রশ্ন। আগামী তিন মাসের মধ্যে আমাদের দুটি বড় টুর্নামেন্ট আছে। চিকিৎসক আমাদের কি পরামর্শ দেন সেটা জানার অপেক্ষায় আছি। তামিমের হাতে অপারেশন ছাড়াও ইনজেকশন ও রিহ্যাবিটেশনের মতো আরও দুটি অপশন আছে।’