ডেঙ্গু আক্রান্ত শিশুকে ভর্তি করাতে গিয়ে বাবা আটক, শিক্ষামন্ত্রীর আহ্বান প্রত্যাখ্যান, আরও খবর

গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে মারা গেছেন আরও ১৪ জন। একই সময়ে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে দেশের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২ হাজার ৬৫৩, যা এ বছরে সর্বোচ্চ। বর্তমানে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি আছেন মোট ৮ হাজার ১৮৯ জন ডেঙ্গুরোগী।

ডেঙ্গুতে আরও ১৪ মৃত্যু, শিক্ষামন্ত্রীর আহ্বান প্রত্যাখ্যান

২৬ জুলাই, বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডেঙ্গু বিষয়ক সর্বশেষ প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ২৫ জুলাই সকাল ৮টা থেকে ২৬ জুলাই সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে মারা গেছেন আরও ১৪ জন। এ বছর এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে মোট মারা গেছেন ২১৫ জন।

গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২ হাজার ৬৫৩ জন ডেঙ্গুরোগী। এ বছর এখন পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন মোট ৪০ হাজার ৩৪১ জন। তাদের মধ্যে হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৩১ হাজার ৯৩৭ জন।

উল্লেখ্য, গত বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ২৮১ জন।

শিক্ষামন্ত্রীর আহ্বানে শিক্ষকদের ‘না’ : শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির আহ্বান প্রত্যাখ্যান করেছেন এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষকরা। একই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আশ্বাস না দেওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন তারা।

২৬ জুলাই, বুধবার বিকেলে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ১৬ দিনের মতো আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন শিক্ষকরা। 

এ সময় বাংলাদেশ টিচার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএ) সাধারণ সম্পাদক কাওছার আহমেদ বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণে প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎ ও আশ্বাস না পাওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।

এরআগে বুধবারের মধ্যে আন্দোলনরত শিক্ষকদের বাড়ি ফিরে যাওয়ার আহ্বান জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, আপনারা জানেন দেশে নির্বাচন পরিস্থিতি চলছে। বিরোধীদলগুলো নানা কর্মসূচি দিচ্ছে। এ অবস্থায় যদি আন্দোলনরত শিক্ষকদের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হয়, তাহলে তার দায় কে নেবে? এ দায়িত্ব কী শিক্ষক নেতারা নিতে পারবেন? তাই আমি আপনাদের আহ্বান জানাচ্ছি, বুধবারের মধ্যে আপনারা বাড়ি ফিরে যান, ক্লাস শুরু করুন।

এরআগে শিক্ষকদের ক্লাসে ফেরাতে দুই দফা আলোচনা হলেও আশ্বস্ত হননি শিক্ষকরা। আন্দোলনের সপ্তম দিন ১৭ জুলাই শিক্ষকদের সঙ্গে আলোচনা করেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মহাপরিচালক। পরে ১৯ জুলাই শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি আন্দোলনরত শিক্ষকদের মধ্য থেকে দুইজন প্রতিনিধিকে ডেকে পাঠান। সেখানে শিক্ষামন্ত্রী জানিয়ে দেন- ‘নির্বাচনের আগে জাতীয়করণ সম্ভব নয়।’

এতে আরও ক্ষুব্ধ হয়েছেন শিক্ষকরা। এরপর শিক্ষকরা সিদ্ধান্ত নেন- দাবি আদায়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। যতক্ষণ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী বা তার প্রতিনিধির মাধ্যমে এ বিষয়ে কোনো আলোচনা  না হবে ততক্ষণ পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।

ট্রেনে কাটা পড়ে মা-মেয়ে নিহত : কুমিল্লায় ট্রেনে কাটা পড়ে মা ও মেয়ে নিহত হয়েছেন। ২৬ জুলাই, বুধবার সন্ধ্যায় সদর উপজেলার বিজয়পুর রেলক্রসিং এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতদের নাম জানা যায়নি। তবে নিহত মায়ের বয়স আনুমানিক ৪০ বছর আচর মেয়ের ২ বছর। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, মেয়েকে কোলে নিয়ে বিজয়পুর বাজার এলাকায় র্দীঘদিন ধরে ভিক্ষা করে আসছিলেন এই মা।

বিষয়টি নিশ্চিত করে লাকসাম রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাসুদ আলম বলেন, রেলক্রসিং পার হওয়ার সময় সোনার বাংলা ট্রেনের ধাক্কায় ঘটনাস্থলেই মারা যান মা ও মেয়ে।

ডেঙ্গু আক্রান্ত শিশুকে ভর্তি নিয়ে হাতাহাতি, বাবা আটক : রাজধানীর মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ডেঙ্গু আক্রান্ত শিশুকে ভর্তি করানো নিয়ে বাবা ও চিকিৎসকের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। এতে শিশুটির বাবাকে আটক করে নিয়ে গেছে পুলিশ। ২৬ জুলাই, বুধবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, ডেঙ্গু আক্রান্ত অসুস্থ শিশুকে নিয়ে হাসপাতালে আসেন তার বাবা। কিন্তু হাসপাতাল থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়- সিট খালি নেই, রোগী ভর্তি করানো যাবে না। তখন শিশুটির বাবা জরুরিভিত্তিতে একজন চিকিৎসককে দেখানোর অনুরোধ করলে কর্তব্যরত চিকিৎসক বিশ্রামে রয়েছেন বলে জানানো হয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে চিকিৎসাকর্মীদের সঙ্গে কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন শিশুর বাবা। পরে পুলিশ এসে শিশুর বাবাকে থানায় নিয়ে যায়।

এ বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবির বলেছেন, ঘটনাটি আমরা জেনেছি। ইতোমধ্যে হাসপাতালটিতে এক বিছানায় দুই শিশুকে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তাই নতুন করে রোগী ভর্তি নেওয়া হচ্ছে না। তাই শিশুর বাবাকে বলা হয়েছিল অন্য হাসপাতালে যেতে। এতে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। এক পর্যায়ে শিশুটির বাবা চিকিৎসকের ওপর চড়াও হন।

দুই তাবলিগকর্মীর মারামারি, একজনের মৃত্যু : রাজধানীর নিউমার্কেট থানাধীন বাবুপুরা জিলানী মার্কেট মসজিদে তাবলিগ জামাতের দুই পক্ষের মধ্যে মারামারি হয়েছে। এতে মো. সামছুল হক (৫৫) নামে একজন নিহত হয়েছেন। ২৬ জুলাই, বুধবার বিকেলে এই ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে,  মাওলানা জোবায়েরের অনুসারী আনোয়ারের সঙ্গে তার মাওলানা সাদের অনুসারী সামছুল হকের মারামারি হয়। এতে সামছুল হক অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

নিহত শামসুল হকের বাসা হাজারীবাগে। তিনি জিলানী মার্কেটে ব্যবসা করতেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়া।