অকৃতকার্য শিক্ষার্থীদের যে পরামর্শ দিলেন প্রধানমন্ত্রী

২০২৩ সালের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় পাস করেছেন ৮০ দশমিক ৩৯ শতাংশ শিক্ষার্থী। আর জিপিএ ৫ পেয়েছে এক লাখ ৮৩ হাজার ৫৭৮ জন। শুক্রবার (২৮ জুলাই) সকাল সাড়ে ১০টায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও অনলাইনে একযোগে ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে।

ফল বের করতে উদগ্রীব শিক্ষার্থীরা, ফাইল ছবি

সকাল সাড়ে ৯টার দিকে গণভবনে আনুষ্ঠানিকভাবে ফলাফল প্রকাশের কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়। শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানরা চলতি বছরের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে হস্তান্তর করেন। পরে তিনি বাটন চেপে আনুষ্ঠানিকভাবে ফলাফল প্রকাশের এ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন।

ফলাফল প্রকাশ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী অভিভাবকদের প্রতি আহ্বান জানান, সন্তান পরীক্ষায় যেমনই ফল করুক, অন্যের সঙ্গে তুলনা করে তাকে কষ্ট না দিয়ে বরং তার দিকে আরও বেশি যত্নশীল হতে হবে। অন্যের সন্তানের সাথে তুলনা করা ঠিক নয়। কারণ সবার মেধা সমান নয়। তাই যতটুকু সম্ভব, তাদের সহযোগিতা করা উচিত।

অন্যদিকে অকৃতকার্য শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, যারা কৃতকার্য হতে পারেনি, তাদেরকে আমি বলব, হতাশ না হয়ে আগামীতে আরও ভালো ফল করার জন্য প্রস্তুত হতে হবে। হতাশ হওয়ার কিছু নেই। হতাশা মানুষের আরও ক্ষতি করে। আগামীতে কিভাবে ভালোভাবে পাস করা যায়, সে প্রস্তুতি নিতে হবে। একটু মনোযোগী হলেই ভালো রেজাল্ট করতে পারবে।

অকৃতকার্যদের বকাবকি না করার আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, অভিভাবকদের বলবো- ছেলেমেয়েরা ফেল করেছে বলে বকাবকি করবেন না। তাদের আরও আদর দিয়ে, ভালোবাসা দিয়ে, সহানুভূতিশীল হয়ে পড়াশোনায় মনোনিবেশ করান। দেখবেন এমনিতেই তারা ভালো করছে।

ফল দেখছে শিক্ষার্থীরা, ফাইল ছবি

বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের ‘অনেক মেধাবী’ উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের শিক্ষার গুণগত মান আরও উন্নত করা দরকার। এ দেশের ছেলেমেয়েরা যাতে শিক্ষা-দীক্ষায় চিন্তা-মননে একটি আধুনিক প্রযুক্তি জ্ঞানসম্পন্ন জনশক্তি হিসেবে গড়ে ওঠতে পারে সেজন্য সবাইকে কাজ করে যাওয়ার আহ্বান জানান সরকারপ্রধান।

ফলাফল প্রকাশ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি ও শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীসহ শিক্ষা বোর্ডগুলোর চেয়ারম্যানরা। পরে সকাল সাড়ে ১০টায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও অনলাইনে একযোগে ফলাফল প্রকাশ করা হয়। বেলা ১১টায় রাজধানীর সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে সংবাদ সম্মেলনে এ ব্যাপারে বিস্তারিত তথ্য জানান শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।

গত ৩০ এপ্রিল এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়েছিল। ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অধীন এসএসসি, মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীন দাখিল এবং কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীন এসএসসি ও দাখিল (ভোকেশনাল) পরীক্ষায় এ বছর ২০ লাখের বেশি পরীক্ষার্থী অংশ নেয়।

আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান তপন কুমার সরকার গণমাধ্যমকে জানান, পরীক্ষার্থীরা এসএমএস ও ওয়েবসাইটের মাধ্যমেই ফলাফল সংগ্রহ করতে পারবে।