অস্ত্রোপচার নয়, তামিমের সমস্যার সমাধান ‘ইনজেকশনে’

গুঞ্জন ছিল ছুরি কাঁচির নিচে যেতে হবে তামিম ইকবালকে। ওয়ানডে বিশ্বকাপের আগে তামিমকে নিয়ে এমন দুঃসংবাদ শেষ পর্যন্ত গুঞ্জন অব্দিই রইল। এশিয়া কাপ ও বিশ্বকাপকে সামনে রেখে ইনজেকশনেই সমাধান খুঁজে নিয়েছেন বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়ক।

তামিম ইকবাল

কয়েকদিন ধরে বাংলাদেশ ক্রিকেটে তামিম ইকবালকে নিয়ে আলোচনা হচ্ছে বেশ। মূলত সদ্য সমাপ্ত আফগানিস্তান সিরিজের মাঝপথে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়ায় তামিম ইকবালকে ঘিরে শুরু হয়েছিল নানান আলোচনা। এরপর মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আদেশে অবসর ভেঙে ক্রিকেটে ফেরার ঘোষণা দিলেও বিশ্রামে রয়েছেন তামিম।

এই সময়ে নিজের পিঠের ইনজুরি ও ফিটনেস নিয়ে কাজ করার কথা ছিল তামিমের। সেই ধারাবাহিকতায় বর্তমানে ইংল্যান্ডে অবস্থান করছেন তিনি। সেখানে রিপোর্টে দেখা যায় তামিমের পিঠের দুই ডিস্কে ক্ষয় ধরেছে। যেটির স্থায়ী সমাধান অপারেশন। তবে তামিমের সামনে ছিল বিকল্প পথও।

অবশেষে বিকল্প পথেই হেঁটেছেন তামিম ইকবাল। অপারেশন না করিয়ে ইনজেকশন নিয়েছেন তিনি। বিসিবির একটি সূত্র দেশের শীর্ষ স্থানীয় গণমাধ্যমে জানিয়েছে, ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া দুই ডিস্ক ঘিরে তিন থেকে চারটি ইনজেকশন দেওয়া হয়েছে। অস্ত্রোপচারের টেবিলেই দেওয়া হয়েছে ইনজেকশন। এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন বিসিবির প্রধান চিকিৎসক দেবাশিষ চৌধুরী।

চিকিৎসকের তথ্য মতে, এই ইনজেকশনের পর ৩-৪ মাস স্নায়ুকে নিস্তেজ রাখে। তবে এটির কোনো নিশ্চয়তাও দিতে পারেননি তারা। অনেক সময় ১ মাসের মধ্যেও ব্যথা ফিরে আসতে পারে। তবে বেশিরভাগ সময়ই ৩-৪ মাস স্থায়ী সমাধান পাওয়া যায় বলেও জানিয়েছেন তারা।

এর আগেও একবার ইনজেকশন নিয়েছিলেন তামিম। সেই দফায় তিন মাস সুস্থ ছিলেন টাইগার অধিনায়ক। ইনজেকশন নিলেও দ্রুতই মাঠে ফেরা হচ্ছে না তামিম ইকবালের। ইনজেকশন নেওয়ার পর ৭ থেকে ১০ দিন বিশ্রামে থাকতে হবে তামিমকে। এরপর ধাপে ধাপে ফিটনেস ট্রেনিংসহ অনুশীলনে যুক্ত হতে পারবেন তামিম ইকবাল।