কত দামে বিক্রি হচ্ছে ম্যানইউ?

২০০৫ সালে ইংলিশ ক্লাব ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড কিনেছিল যুক্তরাষ্ট্রের গ্লেজার পরিবার। অবশেষে বদল হতে চলেছে ক্লাবটির মালিকানা। এ বছরের নভেম্বরে আনুষ্ঠানিকভাবে মালিকানার পরিবর্তন দেখতে পারবেন ভক্তরা। ক্লাবের শতভাগ অংশ কিনে নিয়েছেন কাতারি ধনকুবের শেখ জসিম বিন হামাদ আল থানি।

ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের উদযাপন

শেখ জসিম হারিয়েছেন ব্রিটিশ ব্যবসায়ী ও ক্লাবের সমর্থক স্যার জিম র‍্যাটক্লিফকে। ব্রিটিশ এই ধনকুবের চেয়েছিলেন ইউনাইটেডের ৬০ শতাংশ মালিকানা কিনতে। কিন্তু ক্লাবের পরিচালনা পর্ষদ তার প্রস্তাবে রাজি হয়নি। শেখ জমিসের আগ্রহ ছিল পুরো ১০০ ভাগ নিয়েই। এ কারণেই তার কাছে বিক্রি করা হচ্ছে ক্লাব।

রেড ডেভিলসদের কেনার দৌড়ে ছিল মার্কিন ইলেক্ট্রনিক সামগ্রী নির্মাতা প্রতিষ্ঠান অ্যাপলও। পরে পিছু হটে তারা। শনিবার রাতে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য সান এই খবর দিয়েছে। প্রশ্ন উঠছে কবে নাগাদ ক্লাবের মালিকানা হস্তান্তর করা হবে। এখানে একটু জটিলতা আছে। সেটি আইনি ঝামেলা। যেটির নিরসন করতে কয়েক মাস সময় লাগবে।

আইনি এই জটিলতার কারণেই ক্লাবের মালিকানা বদলে এত দেরি হচ্ছে। ইতোমধ্যে প্রক্রিয়াও নাকি শুরু হয়েছে। এ ছাড়া প্রায় এক বিলিয়ন পাউন্ড দেনায় ডুবে আছে ইংল্যান্ডের ঐতিহ্যবাহী ক্লাবটি। সংবাদমাধ্যমের খবর, ক্লাবের বিক্রিকৃত অর্থ দিয়েই এই দায় মেটাবে গ্লেজার পরিবার। ইউনাইটেডকে ছয় বিলিয়ন পাউন্ডের বিনিময়ে বিক্রি করছে তারা।

গত বছরের নভেম্বরে ক্লাব বিক্রির প্রক্রিয়া শুরু করে মার্কিন পরিবারটি। এর কয়েক সপ্তাহ আগে ওল্ড ট্রাফোর্ড ছেড়ে যান ক্লাবের ইতিহাসে অন্যতম সেরা ফুটবলার ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। পরে হাটে হাঁড়ি ভেঙেছেন পর্তুগিজ যুবরাজ। ক্লাবের সাবেক-বর্তমান কোচ, টিম ম্যানেজমেন্ট, পরিচালনা পর্ষদের সরাসরি সমালোচনা করেন রোনালদো।

পরে রোনালদোর সঙ্গে চুক্তি বাতিলের ঘোষণা দেয় ইউনাইটেড। কয়েক দিন পর ক্লাব বিক্রি করার ঘোষণাও দিয়ে বসে গ্লেজার পরিবার। অবশেষে সেটিও হয়ে গেল। অপেক্ষা এখন হস্তান্তর প্রক্রিয়ার। এর মধ্যেই দেখা দিলো আরেক জটিলতা। সেটি পৃষ্ঠপোষক প্রতিষ্ঠান ও ক্রীড়া সামগ্রী নির্মাতা প্রতিষ্ঠান অ্যাডিডাসকে নিয়ে।

ইংলিশ ক্লাবটির সঙ্গে ক্রীড়া সামগ্রী নির্মাতা অ্যাডিডাসের সঙ্গে দশ বছরের চুক্তি আছে। ক্লাবের মালিকানা শেখ জসিমের কাছে গেলে এই চুক্তির ভবিষ্যত ও ক্লাবের দেনা নিয়ে ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে জটিলতা। আশা করা হচ্ছে আগামী তিন মাসের মধ্যে সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।