সাইফ: তিনশ'র বেশি রান তাড়া করার সামর্থ্য থাকতে হবে

শ্রীলঙ্কায় অনুষ্ঠিত সবশেষ ইমার্জিং এশিয়া কাপে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন সাইফ হাসান। শ্রীলঙ্কার উইকেট তাই বেশ পরিচিত সাইফের কাছে। ৮ দিন পর শুরু হওয়া এশিয়া কাপের আগে সাইফ জানালেন, ৩০০+ রান তাড়া করার সামর্থ্য থাকতে হবে বাংলাদেশের

গণমাধ্যমের সামনে সাইফ হাসান

এশিয়া কাপকে সামনে রেখে ১৭ সদস্যের ঘোষিত স্কোয়াডে জায়গা হয়নি সাইফ হাসানের। মূল স্কোয়াডে জায়গা না হলেও স্ট্যান্ডবাই হিসেবে আছেন তিনি। বিশ্বকাপকে সামনে রেখে ব্যাকআপ ক্রিকেটারের তালিকাতেও আছেন এই টপ অর্ডার ব্যাটার।

নিজেকে প্রস্তুত করতে তাই মিরপুরে কঠোর অনুশীলনে ব্যস্ত এই ক্রিকেটার। আজ অনুশীলন শেষে মিরপুরে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন সাইফ হাসান। সৌম্য সরকার, জাকির হাসান, মোসাদ্দেক হোসেন, সাইফসহ মোট আট ক্রিকেটারকে নিয়ে চলছে এই বিশেষ অনুশীলন।

যদিও ঠিক কি উদ্দেশ্যে এই বিশেষ অনুশীলন সঠিকভাবে জানেন না সাইফ। তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয় ব্যাকআপ প্লান। আমরা যারা স্ট্যান্ডবাই ও বিশ্বকাপের ভাবনায় আছি, তাদের নিয়ে আলাদা এই অনুশীলন। যেন পরবর্তী সময়ে সুযোগ পেলে সবাই প্রস্তুত থাকতে পারি। এই প্রস্তুতি মূলত জাতীয় দলের সঙ্গে মিল রেখেই করা হচ্ছে। যার যে ঘাটতি আছে, তা উন্নতি করাই প্রধান উদ্দেশ্য।’

এরপরই সাইফের থেকে জানতে চাওয়া হয় শ্রীলঙ্কার কন্ডিশন সম্পর্কে। গত মাসেই সেখানে ইমার্জিং এশিয়া কাপ খেলে এসেছেন সাইফ। সাইফের কাছে বাংলাদেশের উইকেটের মতোই মনে হয়েছে লঙ্কানদের উইকেট। তিনি বলেন, ‘শ্রীলঙ্কার কন্ডিশন কিছুটা আমাদের মতোই। আমরা শেষ ম্যাচটি যেখানে খেললাম, উইকেটে টার্ন ছিল। সাধারণত ব্যাটিং বান্ধব উইকেট থাকে। আমরা যদি দ্রুত মানিয়ে নিতে পারি তাহলে ভালো কিছু হবে।’

এবারের ইমার্জিং এশিয়া কাপে বেশিরভাগ ম্যাচেই বড় রানের দেখা মিলেছিল। ৩৫০ রানের টার্গেটে খেলেছিলেন সাইফ-সৌম্যরাও। খুব কাছে গিয়ে হারতে হয়েছিল তাদের। তাই তো সাইফ জানালেন, বাংলাদেশের ৩০০+ রান করার সামর্থ্য থাকতে হবে, ‘আমরা যেসব ম্যাচ খেলেছি (ইমার্জিং এশিয়া কাপে), সেমিফাইনাল ম্যাচ বাদ দিলে সব ম্যাচে ৩০০+ স্কোর হয়েছে। যেহেতু বড় একটা ইভেন্ট আসছে, এ রকমই হবে (৩০০+ রানের উইকেট)। আমার মনে হয়, ওভাবেই প্রস্তুত হওয়া উচিত। ৩০০+ রান তাড়া করার সামর্থ্য থাকা উচিত আমাদের।’

নিজের ভবিষ্যত ভাবনা নিয়েও কথা বলেছেন সাইফ হাসান। জাতীয় দলের হয়ে টেস্ট খেলার সুযোগ হলেও এখনও সাদা বলের ক্রিকেট খেলা হয়নি সাইফের। তবে নিজেকে তিন ফরম্যাটের খেলোয়াড় হিসেবেই ভাবেন এই তরুণ ব্যাটার।

এ বিষয়ে সাইফ বলেন, ‘আমি কখনও আমাকে টেস্ট ক্রিকেটার হিসেবে চিন্তা করিনি। সবসময় তিন সংস্করণের ক্রিকেটার হিসেবেই দেখেছি। তো এটা জানি না, কখন কী (টিম থেকে প্রথম টেস্ট, পরে সাদা বল হিসেবে বিবেচনা) হয়েছে। আমি চেষ্টা করছি উন্নতি করার। যখনই সুযোগ পাই উন্নতির চেষ্টা করি।'