আর থাকছে না ৩ ও ১৫ দিনের ইন্টারনেট ডেটা প্যাকেজ

১৫ অক্টোবর থেকে মোবাইল অপারেটরদের ৩ দিন এবং ১৫ দিনের ইন্টারনেট ডেটা প্যাকেজ বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশন, বিটিআরসি। তৃণমূল, নিম্ন আয় ও তরুণদের জন্য যা দুঃসংবাদই বটে।

বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশন, বিটিআরসির লোগো

একই সঙ্গে অপারেটরদের তাদের অফার করা মোট প্যাকেজের সংখ্যা ৪০-এর মধ্যে সীমাবদ্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে, অপারেটররা ৯৫টি প্যাকেজ অফার করছে।

এক জরিপের তথ্য সামনে রেখে বিটিআরসি বলেছে, মোবাইল ব্যবহারকারীরা অফারকৃত প্যাকেজের পরিমাণ কমানোর পক্ষে। যদিও মোবাইল অপারেটরদের অভিযোগ, জরিপে অংশ নেওয়া ব্যবহারকারীরা প্রভাবিত হয়েছে।

টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার দীর্ঘদিন ধরেই কম মেয়াদের ডেটা প্যাকেজ নিয়ে তার বিরক্তির বিষয়টি প্রকাশ করে আসছিলেন। এ বিষয়ে মন্ত্রীর বক্তব্য, ‘আগে তারা ৩০০টি প্যাকেজ অফার করত। এখন করছে ৯৫টি। গ্রাহকদের পক্ষে মনে রাখা কি সম্ভব? মানুষের বিভ্রান্তির মাত্রাকে কমিয়ে আনতেই আমরা এটি কমিয়ে ৪০-এ নামিয়ে আনছি।’

২০২২ সালের মার্চ মাসে অপারেটরদের প্যাকেজের সংখ্যা ৯৫-এ নামিয়ে আনার নির্দেশ দিয়েছিল বিটিআরসি।

বিটিআরসির পদক্ষেপের বিষয়ে দ্বিমত প্রকাশ করে অ্যাসোসিয়েশন অব মোবাইল টেলিকম অপারেটরস অব বাংলাদেশের (অ্যামটব) সাবেক মহাসচিব টিআইএম নুরুল কবির বলেছেন, ‘তৃণমূলের একটি বড় অংশ যোগাযোগের পাশাপাশি বিনোদন এবং অন্যান্য উদ্দেশ্যে ডেটা ব্যবহার করে থাকেন। তাদের বেশিরভাগই সাশ্রয়ী মূল্যের ৩ দিনের প্যাক বেছে নেয়। যদি কম খরচে স্বল্প সময়ের জন্য ডেটা কেনার প্যাকেজ বাদ দেওয়া হয়, তবে তাদের জন্য খুব অসুবিধাজনক হবে। গ্রাহকদের সবসময় বিকল্প বেছে নেওয়ার ক্ষেত্রে নমনীয়তা থাকা উচিত এবং এটি অস্বীকার করা অন্যায় হবে।’

যে গ্রাহকরা এখন ৩ দিনের প্যাকেজ পাবেন তাদের ন্যূনতম ৭ দিনের প্ল্যানের জন্য বেশি খরচ করতে হবে কিনা জানতে চাইলে টেলিটকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ কে এম হাবিবুর রহমান বলেন, ‘নিঃসন্দেহে- ৩ দিনের মতো একই হারে ৭ দিনের প্যাকেজ অফার করা সম্ভব নয়।’

বাংলালিংকের চিফ কর্পোরেট এবং রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স অফিসার তৈমুর রহমান বলছেন, তাদের প্রায় ৪ কোটি গ্রাহকের ৪৮ শতাংশ নিয়মিত ৩ দিনের প্যাক ক্রয় করে থাকে, ৩ দিনের প্যাকেজ বন্ধ করলে গ্রাহকদের ওপর বিশাল প্রভাব ফেলবে, বিশেষ করে যাদের বাজেট সীমিত।