পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী: ভিসা নিষেধাজ্ঞা নিয়ে সরকার চিন্তিত নয়

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়ায় বিঘ্ন সৃষ্টিকারী ব্যক্তিদের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। ইতোমধ্যেই তা কার্যকর হয়েছে। এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় বর্তমান ও সাবেক বাংলাদেশি কর্মকর্তা, বিরোধী ও ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের সদস্য, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, বিচার বিভাগ ও নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা রয়েছেন।

শাহরিয়ার আলম

ভিসা নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হওয়ার খবরে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেছেন, সরকার এই নিষেধাজ্ঞার ব্যাপারে চিন্তিত নয়, কারণ এটি শুধুমাত্র ভুল কাজের জন্য দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে নেওয়া হয়েছে।

ওয়াশিংটন এই নীতি বাস্তবায়নের জন্য ঢাকাকে অবহিত করেছে উল্লেখ করে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, সরকারের প্রত্যাশা মার্কিন সরকার সঠিক তথ্য ও পরিসংখ্যান যথাযথভাবে পর্যালোচনা করে নতুন ভিসা নিষেধাজ্ঞা নীতি বাস্তবায়ন করবে।

‘যদি দেখা যায় যে কোনো বিশেষ ব্যক্তির উপর ভিসা বিধিনিষেধাজ্ঞা আরোপের জন্য আমাদের কাজ সম্পাদনে সমস্যা হচ্ছে, তবে ঢাকা এ ধরনের বিষয় নিয়ে ওয়াশিংটনের সঙ্গে আলোচনা করবে,’ বলেন প্রতিমন্ত্রী।

তিনি বলেন, কতজন ব্যক্তি ভিসা নীতির আওতায় এসেছে ওয়াশিংটন সে বিষয়ে ঢাকাকে একটা ধারণা দিয়েছে এবং ‘আমি আপনাকে কী বলতে পারি খুবই সংখ্যাটি কম।’

শাহরিয়ার আলম বলেন, সরকারের বিশ্বাস আগামী নির্বাচন বানচালে জড়িত থাকায় বিএনপি-জামায়াতের কর্মীরা যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নিষেধাজ্ঞার ক্ষেত্রে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে।

বিদ্যমান সাংবিধানিক বিধান অনুযায়ী একটি অবাধ সুষ্ঠু ও সহিংসতামুক্ত নির্বাচন করতে সরকার অঙ্গীকারবদ্ধ বলে জানান পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম।

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন চলতি বছরের মে মাসে এই ভিসা নীতি ঘোষণা করেন। এই নীতির আওতায় আসা ব্যক্তি ও তাদের পরিবারের সদস্যরা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের অযোগ্য বলে বিবেচিত হতে পারেন।