আজারবাইজান, আর্মেনিয়াকে শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরের আহ্বান জানিয়েছে রাশিয়া

আজারবাইজান ও আর্মেনিয়ার মধ্যে শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরের আহ্ববান জানিয়েছে রাশিয়া। কারাবাখ সংকটের সমাধান হলেও দুই দেশের মধ্যে শান্তি চুক্তির প্রয়োজন রয়েছে বলে জানিয়েছেন ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ। ২৯ সেপ্টেম্বর, শুক্রবার মস্কোতে এক সংবাদ সম্মেলনে এই কথা বলেছেন তিনি।

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন (মাঝে), আজারবাইজানীয় প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভ (বামে) এবং আর্মেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী নিকোল পাশিনিয়ান (ডানে)

পেসকভ বলেছেন, 'কারাবাখ অঞ্চলে রাশিয়ান শান্তিরক্ষা বাহিনীর কাজের ক্ষেত্র নিয়ে আজারবাইজানি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করা হবে। যেহেতু এখন আমরা আজারবাইজানের ভূখণ্ডে অবস্থিত একটি শান্তি মিশনের কথা বলছি, সেহেতু এটি আজারবাইজানি পক্ষের সঙ্গে আমাদের আলোচনার বিষয় হবে।' 

২৮ সেপ্টেম্বর, বৃহস্পতিবার নাগর্নো-কারাবাখ প্রজাতন্ত্রের নেতা সামভেল শাহরামানিয়ান স্বাক্ষরিত একটি ডিক্রিতে বলা হয়েছে, আগামি বছরের জানুয়ারি মাস থেকে স্ব ঘোষিত নাগর্নো-কারাবাখ প্রজাতন্ত্রের আর কোনো অস্তিত্ব থাকবে না। 

কারাবাখকে নিয়ে আজারবাইজান এবং আর্মেনিয়ার মধ্যে ১৯৯১ সাল থেকে উত্তেজনার শুরু হয়। সে সময় আর্মেনিয়ান সামরিক বাহিনী ওই অঞ্চলটি দখল করে নিয়েছিল। এটি আন্তর্জাতিকভাবে আজারবাইজানের অংশ হিসাবে স্বীকৃত একটি অঞ্চল।

১৯৯১ সালে তথাকথিত নাগর্নো-কারাবাখ প্রজাতন্ত্র ঘোষণা করা হয়েছিল। কিন্তু জাতিসংঘের কোনো সদস্য রাষ্ট্র এটিকে স্বীকৃ্তি দেয়নি।

২০২০ সালে ৪৪ দিনের যুদ্ধে আজারবাইজান আর্মেনিয়ান দখলদারিত্ব থেকে কারাবাখের বেশ কয়েকটি শহর, গ্রাম এবং বসতি মুক্ত করে। পরবর্তীতে রাশিয়ার মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করা হয়।

গত সপ্তাহে, কারাবাখে আর্মেনিয়ান বিচ্ছিন্নতাবাদীদের বিরুদ্ধে ২৪ ঘন্টার লড়াইয়ে বিজয়ী হয় আজারবাইজান।

এদিকে ৫ অক্টোবর আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভ এবং আর্মেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী নিকোল পাশিনিয়ান স্প্যানিশ শহর গ্রানাডায় দুই দেশের মধ্যে একটি শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরের বিষয়ে আলোচনার জন্য বৈঠক করবেন।

সূত্র: আনাদোলু এজেন্সি