মার্কিন রাষ্ট্রদূতের গাড়িবহরে হামলা: ৯ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট

সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্সিয়া বার্নিকাটের গাড়িবহরে হামলার পাঁচ বছর পর ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) নয়জনের বিরুদ্ধে আদালতে সম্পূরক চার্জশিট দাখিল করেছে।

মার্সিয়া বার্নিকাট

চার্জশিটে সুজন ( সুশাসনের জন্য নাগরিক) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদারের শ্যালক মোহাম্মদ ইশতিয়াক মাহমুদ ও মোহাম্মদপুর থানা ছাত্রলীগের সভাপতি নাইমুল হাসান ওরফে রাসেল ছাড়াও ফিরোজ মাহমুদ, মীর আমজাদ হোসেন, সাজু ইসলাম, রাজিবুল ইসলাম, শহিদুল আলম খান, সিয়াম ও অলি আহমেদের নাম রয়েছে। এর মধ্যে ইশতিয়াক মাহমুদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন করা হয়েছে। বাকি আসামিরা বর্তমানে জামিনে রয়েছেন।

১৯ সেপ্টেম্বর ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়। প্রাথমিক তদন্তে এসব আসামির সম্পৃক্ততা প্রমাণিত হয়েছে বলে জানা গেছে।

মামলার বাদী বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ‘পাঁচ বছর পরও মামলার চার্জশিট দাখিল করার জন্য ডিবিকে ধন্যবাদ।’

আসামিদের মধ্যে নাইমুল হাসান ঘটনার সময় মোহাম্মদপুর থানা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। বর্তমানে তিনি মোহাম্মদপুর থানা ছাত্রলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি বলেন, ‘সে সময় আমরা ঘটনাস্থলের সামনে আড্ডা দিচ্ছিলাম। চিৎকার শুনেছি। এটাই আমাদের দোষ।’

অপর আসামি মীর আমজাদ হোসেন ঘটনার সময় মোহাম্মদপুর থানা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে ছিলেন। শহিদুল আলম খান শেরেবাংলা নগর থানা আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন।

২০২১ সালে দায়ের করা অভিযোগে মোহাম্মদপুর থানা ছাত্রলীগের সভাপতি মোজাহিদ আজমীর নাম ছিল। দুর্ভাগ্যবশত, একই বছর তিনি মারা যান। আজমি এবং একজন অজ্ঞাতনামা আসামিকে খালাস দেওয়ার আবেদন করা হয়।

৪ আগস্ট ২০১৮ সালে রাতে তৎকালীন মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্সিয়া বার্নিকাট বদিউল আলম মজুমদারের মোহাম্মদপুরের বাসায় নৈশভোজে অংশ নেন। রাতের খাবারের পর গাড়িতে উঠার সময় এ হামলার ঘটনা ঘটে।

২০২১ সালের মার্চ মাসে আদালত এই ঘটনার সঙ্গে সম্পর্কিত মামলায় নয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে। যদিও পরে রাষ্ট্র আরও তদন্তের অনুরোধ করে। সে আবেদনে বলা হয়, অভিযোগকারীসহ পাঁচজন আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। এদের মধ্যে তিন আসামি বাদী বদিউল আলম মজুমদারের শ্যালক ইশতিয়াক মাহমুদের নাম উল্লেখ করেছেন। তবে তার নাম উল্লেখ করেননি তদন্ত কর্মকর্তা।

রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত গত বছরের ২৮ ডিসেম্বর মামলাটি অধিকতর তদন্তের নির্দেশ দেন। এই পুনঃতদন্তের দায়িত্ব ডিবিকে দেওয়া হয়।

ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) হারুন-অর-রশিদ বলেন, ডিবির সহকারীর রিপোর্ট অনুযায়ী আমরা একটি সম্পূরক চার্জশিট আকারে আদালতে প্রতিবেদন জমা দিয়েছি।