প্রধানমন্ত্রী: আমি এটুকুই বলব ওদের সুমতি হোক, অগ্নিসন্ত্রাস বন্ধ করুক

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ভোট অনুষ্ঠানের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আগামী সাধারণ নির্বাচনে জনগণ স্বাধীনভাবেই তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। তিনি বলেন, নির্বাচন ঘনিয়ে এসেছে। হয়তো দু-একদিনের মধ্যেই নির্বাচন কমিশন তফসিল ঘোষণা করবে। দেশে জনগণের ভোটের অধিকার নিশ্চিত করেছি। কাজেই জনগণ স্বাধীনভাবে তাদের ভোট দেবে। খবর বাসসের।

গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

হরতাল-অবরোধের নামে বিএনপি-জামায়াতের অগ্নিসন্ত্রাসের নিন্দা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি আশা করি বিএনপি-জামায়াতের শুভবুদ্ধির উদয় হবে। আমি এটুকুই বলব, ওদের সুমতি হোক। তারা এই ধ্বংসযজ্ঞ বন্ধ করুক, অগ্নিসন্ত্রাস বন্ধ করুক।

প্রধানমন্ত্রী নিজের নামে নামকরণ করা শেখ হাসিনা সরণি (পূর্বাচল এক্সপ্রেসওয়ে) এবং চট্টগ্রামের প্রথম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েসহ ১৫৭টি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ১০ হাজার ৪১টি স্থাপনার উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর অনুষ্ঠানে ভাষণে এ কথা বলেন। তিনি মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি এসব প্রকল্পের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিএনপির প্রতি ইঙ্গিত করে বলেন, অনেকে নির্বাচনে আসতে চায় না। কারণ যারা ২০০৮ সালে ৩০টি সিট পেয়েছিল, স্বাভাবিকভাবে তাদের নির্বাচনে আসার কোনো আকাঙ্খাই থাকবে না। নির্বাচন বানচাল করে অস্বাভাবিক পরিস্থিতির সৃষ্টি করে আবার দেশের মানুষকে ভোগান্তিতে ফেলার চেষ্টা করছে তারা।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমি জানি এদেশের মানুষ স্বস্তিতে ছিল, একটু শান্তিতে ছিল, উন্নয়নও দ্রুতগতিতে এগিয়ে যাচ্ছে, ঠিক এই সময়ে এ ধরনের অবরোধ আর অগ্নিসন্ত্রাস-জ্বালাও পোড়াও মেনে নেওয়া যায় না। গাড়িতে আগুন বাসে আগুন দিয়ে মানুষের জীবনযাত্রা ব্যাহত করা হচ্ছে, স্কুল-কলেজের ছেলেমেয়েদের ফাইনাল পরীক্ষার মধ্যে তাদের লেখাপড়া নষ্ট হচ্ছে।

অগ্নিসন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশবাসীকেও বলব এই অগ্নিসন্ত্রাস প্রতিরোধ করতে হবে আপনাদেরই। সবারই জানমাল আছে। কাজেই এ ভোগান্তি যেন মানুষের আর না হয়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকারের সাড়ে ১৪ বছরে আজকের বাংলাদেশ এক বদলে যাওয়া বাংলাদেশ। বাংলাদেশকে আর কেউ অবহেলার চোখে দেখে না। আজকে বিশ্বে একটি মর্যাদাশীল দেশ, উন্নয়নের রোল মডেল বাংলাদেশ।

অনুষ্ঠানের মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক এবং খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া।