আপনি পড়ছেন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ বর্ষের ৩৯০ জন শিক্ষার্থীকে নির্দিষ্ট সময়ে ভর্তি ফি জমা না দেওয়ার অভিযোগে প্রায় চার লাখ টাকার জরিমানা করা হয়েছে। এই জরিমানার ঘটনায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষোভ ও হতাশা বিরাজ করছে।

human chineবাংলা বিভাগের শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন

জানা গেছে, দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীদের ভর্তির শেষ সময় ছিল গত ১৭ অক্টোবর। তবে শিক্ষার্থীদের বিষয়টি অবহিত করা হয়নি। বিষয়টি নিয়ে বিভাগ থেকেও কোনো নোটিশ দেওয়া হয়নি। পরবর্তী সময়ে ১ নভেম্বর তাদের দ্রুত ভর্তি হতে হবে বলে বিভাগের পক্ষ থেকে জানানো হয়। সে সময়ও তাদের সর্বশেষ সময় বা বিলম্বে ভর্তির ক্ষেত্রে জরিমানার কথা উল্লেখ করা হয়নি।

৩ নভেম্বর পর্যন্ত বেশ কিছু শিক্ষার্থী স্বাভাবিকভাবেই ভর্তি হন। তবে ৪ নভেম্বর যারা ভর্তি হওয়ার চেষ্টা করেন, সার্ভার বন্ধ থাকায় তারা ভর্তি হতে পারেননি। এ অবস্থা চলে ৭ অক্টোবর পর্যন্ত। পরে শিক্ষার্থীরা রেজিস্ট্রার ভবনে যোগাযোগ করে ভর্তির চেষ্টা করলে তাদের ফিয়ের সঙ্গে এক হাজার টাকা জরিমানা যুক্ত করা হয়।

বাংলা বিভাগ সূত্রে জানা যায়, সঠিক সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরবর্তী সেশনের ভর্তি ফি জমা দিতে বিলম্ব করায় ৩৯০ জন শিক্ষার্থীকে এক হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। তবে ভর্তি শুরু বা শেষ তারিখ সম্পর্কে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বা বিভাগের পক্ষ থেকে সুস্পষ্ট কোনো নোটিশ জারি করা হয়নি।

bangla departmentঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগ

শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বরাবর বাংলা বিভাগের চেয়ারম্যান স্বাক্ষরিত একটি আবেদনপত্র জমা দিলে প্রশাসন সেটিকে নাকচ করে দেয় এবং শিক্ষার্থীদের জরিমানা পরিশোধের নির্দেশ দেওয়া হয়। পরে বিভাগের চেয়ারম্যান শিক্ষার্থীদের জরিমানা দিয়েই ভর্তি হওয়ার নির্দেশ দেন।

শিক্ষার্থীরা বলছেন, বিশ্ববিদ্যালয় কিংবা বিভাগ থেকে তারা ভর্তি ফি জমা দেওয়ার নির্ধারিত তারিখের ব্যাপারে কোনো নোটিশ পাননি। ফলে এ বিষয়ে তাদের জানা ছিল না। পরে দ্রুত ভর্তি হতে হবে, এমন নির্দেশে তারা ফরম পূরণ করতে গিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্ভার ডাউন দেখতে পান। ফলে তারা চারদিন ভর্তি হতে পারিনি। এরপর তারা যোগাযোগ করলে জানানো হয়, ভর্তির তারিখ পেরিয়ে গেছে এবং তাদের সবাইকে এক হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়।

শিক্ষার্থীরা আরও বলছেন, বিভাগ আর রেজিস্ট্রার ভবনের সমন্বয়হীনতার কারণে ভর্তির তারিখের নোটিশ দেওয়া হয়নি। এখন জরিমানা গুনতে হচ্ছে তাদের। তারা সতর্ক করার পরও যদি তারা বিলম্ব করতাম, তাহলে অভিযোগ ছিল না। কিন্তু যা হয়েছে, তা মেনে নেওয়ার মতো না।

বিষয়টি নিয়ে মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) ঢাবির অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে মানববন্ধন পালন করেন বাংলা বিভাগের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। পরে শিক্ষার্থীরা জরিমানা মওকুফের লিখিত আবেদন করলেও সেটি নাকচ করে দেন উপাচার্য। বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত একা তিনি পরিবর্তন করতে পারবেন না বলে শিক্ষার্থীদের জানান।

এ বিষয়ে যথাযথ কর্তৃপক্ষের বিস্তারিত কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।