গাজায় নিহতদের মধ্যে স্কুল শিক্ষার্থীই ৩ হাজার

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় টানা দেড় মাস ধরে নির্বিচার হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী। এতে এ পর্যন্ত ১৩ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরায়েলি হামলায় নিহতদের মধ্যে অন্তত ৩০০০ জন শিক্ষার্থী। খবর আনাদোলু নিউজের।

গাজার বুরেজিতে বোমা হামলার পর এলাকা ছাড়ছে শিশুসহ কয়েকটি পরিবার

বিশ্ব শিশু দিবস উপলক্ষে সোমবার (২০ নভেম্বর) এক বিবৃতিতে ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, ইসরায়েলের হামলায় গত ৪৫ দিনে গাজায় ৫ হাজার ৩৫০ জনের বেশি শিশু নিহত হয়েছে। যাদের মধ্যে ৩ হাজারের বেশি স্কুলশিক্ষার্থী।

বিবৃতিতে আরও জানানো হয়, দখলকৃত পশ্চিম তীরেও ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় অন্তত ২৩ জন ছাত্র নিহত হয়েছে।

মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বিশ্বের সমস্ত শিশু অধিকার সংস্থাগুলোর প্রতি আহ্বান জানানো হয়, যাতে সবাই গাজায় ইসরায়েলের আন্তর্জাতিক আইনের ক্রমবর্ধমান লঙ্ঘন এবং তাদের অপরাধ বন্ধ করতে চাপ দেয়।

মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, গাজা উপত্যকায় এতসংখ্যক শিশু ও স্কুল শিক্ষার্থীর করুণ মৃত্যুর চিত্রই বলে দেয় ইসরায়েল কতটা আন্তর্জাতিক নিয়ম লঙ্ঘন করে চলেছে। গাজায় দখলদারিত্বের মানসিকতা নিয়েই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও আশ্রয় শিবিরগুলোকে ক্রমাগত হামলার লক্ষ্যবস্তু করা হচ্ছে।

ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের যোদ্ধারা ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে আকস্মিক হামলা চালালে সেদিন থেকেই গাজায় নির্বিচার বোমা হামলা শুরু করে ইসরায়েলি বিমান বাহিনী।

ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুসারে, গত দেড় মাসে গাজায় ১৩ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। তাদের মধ্যে ৯ হাজারের বেশি নারী ও শিশু। এছাড়া আহত হয়েছে ৩২ হাজার ফিলিস্তিনি।

অবরুদ্ধ ছিটমহল গাজায় ইসরায়েলের উপুর্যপরি বিমান হামলা ও স্থল হামলায় আশ্রয় শিবির, হাসপাতাল, মসজিদ-গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ধ্বংস হয়েছে। ধ্বংসস্তুপের নিচে চাপা পড়ে রয়েছে আরও অন্তত ছয় হাজার ফিলিস্তিনির দেহ। তাদের নিখোঁজ হিসেবে ধরা হচ্ছে।