মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে বাগেরহাটের ৭ যুদ্ধাপরাধীর মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। একাত্তরে হত্যা ও ধর্ষণের অভিযোগে তাদের মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেওয়া হলো।

tribunal 2বাগেরহাটের ৭ যুদ্ধাপরাধীর ফাঁসির রায় দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল

বিচারপতি মো. শাহীনুর ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) এ রায় দেন। ট্রাইব্যুনালের অন্য দুই সদস্য হচ্ছেন বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলম ও বিচারপতি আবু আহমেদ জমাদার।

দণ্ডিত ৭ আসামির মধ্যে তিনজন কারাবন্দি এবং চারজন পলাতক রয়েছেন।

রায় ঘোষণার সময় কারাবন্দি তিন আসামী শেখ মো. উকিল উদ্দিন, খান আকরাম হোসেন ও মকবুল মোল্লা আদালতে হাজির ছিলেন।

অন্যদিকে পলাতক আসামীরা হচ্ছেন, রুস্তম আলী মোল্লা, খান আরশাদ আলী, শেখ রফিকুল ইসলাম বাবুল ও শেখ ইদ্রিস আলী।

আসামিদের বিরুদ্ধে ২০১৭ সালের ৩১ মে অভিযোগ আমলে নেয় ট্রাইব্যুনাল। অভিযোগ গঠনের পর তাদের বিচার শুরু হয়। মামলায় মোট ৯ জন আসামি ছিলেন। দুই জন এরইমধ্যে মারা গেছেন।

যুদ্ধাপরাধের সাতটি ঘটনায় আসামীদের বিচার হয়। অভিযোগগুলো হচ্ছে,

১ নম্বর অভিযোগ: ১৯৭১ সালের ২৬ মে ২৫-৩০ পাকিস্তানি সেনা ও ১৫-২০ জন রাজাকার বাগেরহাটের মোড়লগঞ্জ থানার চাপড়ী ও তেলিগাতীতে নিরীহ নিরস্ত্র বাসিন্দাদের ওপর হামলা চালায়। তারা ৪০-৫০টি বাড়িতে লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করে। অন্তত ১০ জন নিরস্ত্র মানুষকে গুলি করে হত্যা করে।

২ নম্বর অভিযোগ: আসামিরা ১৯৭১ সালের ৭ জুলাই বাগেরহাটের কচুয়া থানার বৈখালী রামনগর ও হাজরাখালীতে হামলা চালিয়ে নিরস্ত্র চার জনকে আটক ও আবাদের খালের ব্রিজে নিয়ে হত্যা করে মরদেহ খালের পানিতে ফেলে দেয়।

৩ নম্বর অভিযোগ: ১৯৭১ সালের ১৩ নভেম্বর মোড়লগঞ্জের ঢুলিগাতী গ্রামে সশস্ত্র আসামীরা হামলা চালিয়ে দুইজন নিরস্ত্র মুক্তিযোদ্ধাকে আটক, নির্যাতন ও গুলি করে হত্যা করে।

৪ নম্বর অভিযোগ: ১৯৭১ সালের ১৭ নভেম্বর কচুয়া থানার বিলকুল ও বিছট গ্রামে হামলা চালায় আসামীরা। তারা চার জন স্বাধীনতার পক্ষের নিরস্ত্র লোককে ধরে কাঁঠালতলা ব্রিজে নিয়ে গুলি করে হত্যা ও লাশ নদীতে ফেলে দেয়।

৫ নম্বর অভিযোগ: ১৯৭১ সালের ৩০ নভেম্বর কচুয়া থানার বিলকুল গ্রাম থেকে নিরস্ত্র মুক্তিযোদ্ধা মুনসুর আলী নকীবকে ধরে নিয়ে মোড়লগঞ্জ থানার দৈবজ্ঞহাটির গরুহাঁটি ব্রিজে নিয়ে গুলি করে হত্যা করে।

৬ নম্বর অভিযোগ: ১৯৭১ সালের ১৬ অক্টোবর কচুয়া থানার উদানখালী গ্রামে হামলা চালিয়ে স্বাধীনতার পক্ষে থাকা উকিল উদ্দিন মাঝিকে ধরে নিয়ে গুলি করে হত্যা করে। তার মেয়ে তাসলিমাকে ধরে কচুয়া রাজাকার ক্যাম্পে নিয়ে যায়। সেখানে তাসলিমাসহ আরও চার নারীকে দীর্ঘদিন আটকে রেখে ধর্ষণ করা হয়। ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ স্বাধীন ও দখলদারমুক্ত হলে মুক্তিযোদ্ধারা ওই রাজাকার ক্যাম্প থেকে ভুক্তভোগী তাসলিমাকে উদ্ধার করে।

৭ নম্বর অভিযোগ: কচুয়ার গজালিয়া বাজারে হামলা চালিয়ে নিরীহ নিরস্ত্র শ্রীধাম কর্মকার ও তার স্ত্রী কমলা রানীকে নির্যাতন চালায় আসামীরা। পরে শ্রীধাম কর্মকারকে হত্যা ও কমলা রানীকে জোর করে কচুয়া রাজাকার ক্যাম্পে নিয়ে আটকে রাখে উল্লিখিত আসামীরা। ওই আসামী অন্য রাজাকাররা কমলা রানীসহ আটক আরো কয়েক নারীকে ধর্ষণ করে।

গুগল নিউজে আমাদের প্রকাশিত খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন...

খেলাধুলা, তথ্য-প্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, দেশ-বিদেশের রাজনৈতিক বিশ্লেষণ সহ সর্বশেষ খবর

Stay up-to-date with the latest news from Bangladesh. Our comprehensive coverage includes politics, business, sports, and culture. Get breaking news, analysis, and commentary on the issues that matter most to Bangladeshis and the international community.

Bangladesh is a country located in South Asia and is home to a diverse population of over 160 million people. It has a rich cultural heritage and a rapidly growing economy. News from Bangladesh covers a wide range of topics, including politics, economics, social issues, culture, and more. The country has made significant progress in recent years in areas such as poverty reduction, education, and healthcare. However, it still faces challenges such as corruption and environmental degradation. Bangladeshi news sources cover both local and international news to keep the public informed about the latest developments and events.