দীপু মনির বছরে আয় এখন সোয়া কোটি

শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনির গত ১৫ বছরে আয়, স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ সবই বেড়েছে বহুগুণ। ২০০৮ সালের আগে যেখানে তার বছরে আয় ছিল ৩ লাখ টাকা, সেখানে এমপি-মন্ত্রী হয়ে এখন তার বছরে আয় দাঁড়িয়েছে সোয়া কোটিতে।

১৫ বছরের ব্যবধানে দীপু মনির সম্পদ বেড়েছে বহুগুণ

ডা. দীপু মনি ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। ২০০৮ সালে তিনি প্রথম চাঁদপুর–৩ আসন থেকে এমপি নির্বাচিত হন। এরপর ২০০৯ সালে তাকে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয়। ২০১৮ সালের সংসদ নির্বাচনের পর শিক্ষামন্ত্রী করা হয় তাকে।

দীপু মনি এবার দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে চাঁদপুর–৩ আসনে নৌকার প্রার্থী। মনোনয়নপত্রের হলফনামায় নিজের পেশা হিসেবে চিকিৎসক, রাজনীতিক ও আইনজীবী বলে উল্লেখ করেছেন তিনি।

দীপু মনির ২০০৮ সালের হলফনামা অনুযায়ী, তার আয় ছিল বছরে ৩ লাখ টাকা। এবার ২০২৩ সালের হলফনামা অনুযায়ী, তিনি বছরে আয় করেন ১ কোটি ২৩ লাখ টাকা। এরমধ্যে মন্ত্রী হিসেবে বেতন- ভাতা পান ২১ লাখ টাকা, সঞ্চয়পত্রসহ আর্থিক খাতে বিনিয়োগ থেকে আয় ৩ লাখ টাকা এবং অন্যান্য খাতে ৯৯ লাখ টাকা আয় তার।

২০০৮ সালে দীপু মনির অস্থাবর সম্পদ ছিল মোট ৫ লাখ টাকার। এর মধ্যে তার নগদ ছিল ২ লাখ ৭০ হাজার টাকা, ছিল এক লাখ টাকার গাড়ি। ২৫ ভরি সোনার দাম তিনি দেখিয়েছিলেন ১ লাখ টাকা।

২০২৩ সালের হলফনামা অনুযায়ী, এখন দীপু মনির অস্থাবর সম্পদ দাঁড়িয়েছে মোট ২ কোটি ৯৩ লাখ টাকার। এর মধ্যে নগদ ৬৭ লাখ টাকা এবং সঞ্চয়পত্র ও সমজাতীয় বিনিয়োগ ১ কোটি ৪৪ লাখ টাকা। এছাড়া এক লাখ টাকার গাড়ির বদলে এখন ৬০ লাখ টাকার গাড়ি এবং স্বর্ণের গহণা দেখিয়েছেন ৯ লাখ টাকার।

দীপু মনির ২০০৮ সালে কোনো ঋণ ছিল না। এবার ২০২৩ সালে এসে তার ঋণের পরিমাণ ১ কোটি ১২ লাখ টাকা।

দীপু মনির স্থাবর সম্পদের মধ্যে রয়েছে ৩টি ফ্ল্যাট ও ১০ কাঠা জমি। এই ফ্লাট ও জমির মূল্য দেখানো হয়েছে ৩ কোটি ৯৪ লাখ টাকা। যদিও ২০০৮ সালে কোনো স্থাবর সম্পদ ছিল না দীপু মনির।