গাজায় যুদ্ধবিরতির দাবিতে হোয়াইট হাউসে শিকল বন্দী ১৮ প্রবীণ ইহুদি

গাজা যুদ্ধে নিহতদের স্মরণে এবং যুদ্ধবিরতির দাবিতে হোয়াইট হাউসের সামনে ১১ ডিসেম্বর সোমবার একদল প্রবীণ ইহুদি বিক্ষোভ করেছেন। ডিসেম্বরের কনকনে ঠান্ডা উপেক্ষা করে  হোয়াইট হাউসের সামনে জড়ো হয়েছিলেন একদল প্রবীণ ইহুদি বিক্ষোভকারী।

ছবি - সংগৃহীত

জিউস ভয়েস ফর পিস নামের একটি সংগঠন এই বিক্ষোভের আয়োজন করে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে রাজধানীতে এসে হাজির হয়েছিলেন ষাট, সত্তর এবং আশি বছর বয়সী ১৮ জন ইহুদি নারী।

বিক্ষোভকারীরা হোয়াইট হাউসের বেড়ার সঙ্গে নিজেদের শিকল দিয়ে বেঁধে রেখেছিলেন। তাদের সামনে থাকা ব্যানারে লেখা ছিল, ‘বাইডেনকে ইহুদি প্রবীণরা: গণহত্যা বন্ধ করুন। এখনই যুদ্ধবিরতি করুন।'

বিক্ষোভকারীরা দুই মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা যুদ্ধের সময় গাজায় নিহতদের নাম উচ্চস্বরে পাঠ করেন।

জিউস এল্ডারস ফর প্যালেস্টাইন ফ্রিডম গ্রুপটির মুখপাত্র এস্থার ফারমার বলেছেন, ‘আমরা আজ এখানে এসেছি কারণ ইহুদি প্রবীণ হিসাবে, আমরা জানি গণহত্যার অভিজ্ঞতা কেমন। আমরা জানি এসময় কেমন লাগে। এটি আমাদের স্মৃতিতে রয়েছে। এটি আমাদের দেহে রয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘আমরা এখানে বাইডেনকে বলতে এসেছি যে তাকে এই গণহত্যার অর্থায়ন এবং অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ করতে হবে।’

এক ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে হোয়াইট হাউসের গেটে শিকল বন্দী হয়ে বসে ছিলেন বিক্ষোভকারীরা। পরবর্তীতে পুলিশ সেখান থেকে তাদের তাড়িয়ে দেয়। এরপর বোল্ট কাটার দিয়ে তাদের শিকল কেটে দেয়।

এদিকে ডেলাওয়্যার অঙ্গরাজ্যের হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভস মদিনা উইলসন-অ্যান্টন এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘আমরা গাজায় এই গণহত্যার জন্য বাইডেন-হ্যারিস প্রশাসনের নিঃশর্ত সমর্থন প্রত্যক্ষ করেছি। যখন মার্কিনীরা তাদের সন্তানদের জন্য ক্রিসমাসের উপহার কিনছে, সে সময় আমাদের দেওয়া করের অর্থ গাজার শিশুদের হত্যার জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে।’

সোমবার সন্ধ্যায় ক্যাপিটল হিলের ফ্রিডম প্লাজায় গাজার যুদ্ধে নিহত ফিলিস্তিনিদের উদ্দেশ্যে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন করার জন্য শত শত মানুষ জড়ো হয়েছিল।

উল্লেখ্য, ৭ অক্টোবর থেকে অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় সামরিক অভিযান চালিয়ে আসছে ইসরায়েলি বাহিনী। ২৪ নভেম্বর থেকে ৭ দিনের যুদ্ধবিরতি ছিল। এরপর ১ ডিসেম্বর পুনরায় যুদ্ধ শুরু করে ইসরায়েলিরা। এই যুদ্ধে ১৭ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এদের বেশিরভাগই শিশু এবং নারী ছিল।

সূত্র: আনাদোলু এজেন্সি, দ্য নিউ আরব