আইসল্যান্ডে অগ্ন্যুৎপাত, শহর খালি

ভয়ানক অগ্ন্যুৎপাত শুরু হয়েছে আইসল্যান্ডের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় রেকজেনেস উপদ্বীপের ফ্যাগ্রাডালসফজল আগ্নেয়গিরিতে। অক্টোবর থেকে টানা ভূমিকম্পের পর সোমবার এ অগ্ন্যুৎগীরণ শুরু হয়। এর আগেই মৎস্য শহর বলে খ্যাত গ্রিন্দাভিকে বসবাসকারী চার হাজারের বেশি মানুষকে সরিয়ে নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। খবর বিবিসির।

আইসল্যান্ডের ফ্যাগ্রাডালসফজল আগ্নেয়গিরিতে অগ্ন্যুৎপাত

আইসল্যান্ডের আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, সোমবার স্থানীয় সময় রাত ১০টার দিকে (জিএমটি ২২.১৭) শহরের উত্তরে অগ্ন্যুৎপাত শুরু হয়। অগ্ন্যুৎপাতের ফলে একদিকে লাভা আকাশে উঠতে থাকে, অন্যদিকে চলতে থাকে তীব্র ভূমিকম্প। অগ্ন্যুৎপাতটি গ্রিন্ডাভিক শহরের প্রায় ৪ কিমি উত্তর-পূর্বে শুরু হয় এবং ভূমিকম্প ধীরে ধীরে শহরের দিকে অগ্রসর হচ্ছে।

আগ্নেয়গিরির ৩.৫ কিলোমিটার দীর্ঘ ফাটল দিয়ে লাভা উদ্গীরণ হচ্ছে। প্রতি সেকেন্ডে প্রায় ১০০ থেকে ২০০ ঘনমিটার বেগে গলিত লাভা প্রবাহিত হচ্ছে।

আবহাওয়া অফিস জানায়, রেকজেনেস উপদ্বীপে এবারের অগ্ন্যুৎপাতের পরিমাণ সাম্প্রতিক বছরগুলোর তুলনায় বহুগুণ বেশি। ভূমিকম্পও হয়েছে রেকর্ড সংখ্যক। অগ্ন্যুৎপাতের আগে নভেম্বরের মাঝামাঝি একদিনে ৮০০ ভূমিকম্প আঘাত হেনেছিল রেকজেনেস উপদ্বীপে। ওই সময় আইসল্যান্ডে জরুরি অবস্থাও জারি করা হয়।

সিভিল ডিফেন্সের ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তা ভিদির রেনিসন রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন আরইউভিকে বলেছেন, বিস্ফোরণটি দ্রুত ঘটেছে। আগ্নেয়গিরির একটি বড় ফাটল থেকে লাভা সব দিকে প্রবাহিত হচ্ছে। লাভার আগুন আকাশের বেশ উঁচুতে উঠেছে, তাই একটি শক্তিশালী অগ্ন্যুৎপাত বলেই মনে হচ্ছে।

গ্রিন্ডাভিকের প্রায় ৪২ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে অবস্থিত আইসল্যান্ডের রাজধানী শহর রেকজাভিক থেকে অগ্ন্যুৎপাত দেখা যায়। শহরের একজন বাসিন্দা বলেন, গ্রিন্ডাভিকের দিকে আকাশের অর্ধেক লাল আলোয় আলোকিত হয়ে রয়েছে। রাজধানীর বাতাসে ধোঁয়া উড়ে আসছে।

আইসল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী ক্যাট্রিন জ্যাকবসডোটির বলেন, অগ্ন্যুৎপাতের আগেই আমরা সতর্ক ছিলাম। স্থানীয় লোকজনকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ইতিবাচক।

২০১০ সালের এপ্রিলে একই আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতে লাভার ছাই মেঘে আকাশ ঢেকে ইউরোপীয় বিমান চলাচল কয়েকদিন বন্ধ ছিল। ওই সময় ১.৫ বিলিয়ন থেকে ২.৭ বিলিয়ন ডলারের ক্ষতি হয়েছিল।