ফের ১ লাখ ২০ হাজার গাড়ি প্রত্যাহার করছে টেসলা

যুক্তরাষ্ট্রের বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান টেসলা দেশটির বাজারে ছাড়া মডেল এস ও মডেল এক্সের ১ লাখ ২০ হাজার গাড়ি ফেরত নিচ্ছে। বিশ্বের এক নম্বর শীর্ষ ধনী ইলন মাস্কের মালিকানাধীন অটোমেকারটি শুক্রবার বলেছে, গাড়ি দুর্ঘটনা কবলিত হলে দরজা খুলে যাওয়ার আশঙ্কা থেকেই প্রত্যাহারের (রিকল) সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। খবর এনবিবিসি ও রয়টার্সের।

সফ্টওয়্যারজনিত ত্রুটিতে লাখ লাখ গাড়ি নিয়ে বিপাকে টেসলা

যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় হাইওয়ে ট্রাফিক সেফটি অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এনএইচটিএসএ) সাম্প্রতিক এক তদন্তে বলেছে, টেসলা ২০২১-২০২৩ সালের মধ্যে যেসব মডেলের গাড়ি বাজারজাত করেছে, সেগুলোতে যে ওভার-দ্য-এয়ার (ওটিএ) সফ্টওয়্যার রয়েছে, সেটি পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া সুরক্ষার জন্য ফেডারেল নিরাপত্তা মানের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।

টেসলাও শুক্রবার এনএইচটিএসএর কাছে পাঠানো রিকল ফাইলিংয়ে স্বীকার করেছে, চলতি মাসের শুরুতে মডেল দুটির গাড়ির একটি রুটিন ক্র্যাশ পরীক্ষার সময় নন-স্ট্রাক সাইডে চাপ পড়ে একটি কেবিনের দরজা খুলে গেছে।

টেসলা বলেছে, এতে যদিও সম্ভাব্য দুর্ঘটনার সময় বেশি আহত হওয়ার ঝুঁকি তৈরি হয়। তবে গত ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত এমন কোনো দুর্ঘটনা ঘটার নজির মেলেনি।

তারপরও সব ধরনের ঝুঁকিমুক্ত হতে গাড়ির অটোপাইলট সফটওয়্যার আপডেট করে দেবে টেসলা এবং সেটি বিনামূল্যেই। আর সেজন্যই গাড়ি ফেরত পাঠাতে মালিকদের চিঠি দেওয়া হচ্ছে।

মাত্র গত সপ্তাহেই টেসলা ‘অটোপাইলট ড্রাইভার-অ্যাসিসট্যান্স’ প্রযুক্তি নিয়ে নিরাপত্তাজনিত উদ্বেগ দেখা দেওয়ায় প্রায় ২০ লাখ গাড়ি প্রত্যাহার করার ঘোষণা দেয়। এটি কোম্পানিটির এ যাবতকালের সবচেয়ে বড় রিকল।

ওই সম্পর্কিত ফেডারেল তদন্তে বলা হয়, গাড়ির চালকরা অটোপাইলট মুডে অটোস্টিয়ার ফাংশনের অপব্যবহার করতে পারেন এবং গাড়ি চালানোর সময় তারা ততটা মনোযোগী নাও থাকতে পারেন। এতে বাড়তে পারে দুর্ঘটনার ঝুঁকি।

অটোপাইলটের অন্যতম উপাদান হলো অটোস্টিয়ার, যা একটি গাড়িকে নির্দিষ্ট গতিতে চলতে বা অন্য গাড়ি থেকে নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রাখতে এবং নিজের ড্রাইভিং লেন ধরে স্বয়ংক্রিয়ভাবে চলতে সাহায্য করে।

এর আগে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতেও ‘সম্পূর্ণ স্ব-ড্রাইভিং’ সফটওয়্যার ইস্যুতে ৩ লাখ ৬০ হাজার গাড়ি রিকল করতে বাধ্য হয় টেসলা।