৪৪ হাজার কোটা খালি রেখেই শেষ হলো হজ নিবন্ধন!

চার দফায় সময় বাড়িয়েও পূরণ হয়নি হজের নির্ধারিত কোটা। মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) রাত ১১টা পর্যন্ত সরকারি-বেসরকারিভাবে নিবন্ধন করেছেন ৮৩ হাজার ১৫৫ হজযাত্রী। এর ফলে সৌদি আরবের দেওয়া ৪৪ হাজারের বেশি কোটা খালি রেখেই শেষ হলো এবারের হজের নিবন্ধন কার্যক্রম।

পবিত্র হজ

এবারের হজের নিবন্ধন শুরু হয় গত বছরের ১৫ নভেম্বর। সে সময় নিবন্ধনের শেষ সময় নির্ধারণ করা হয় ১০ ডিসেম্বর। তবে প্রত্যাশিত সাড়া না মেলায় নিবন্ধনের সময় ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়। হজযাত্রীদের সাড়া না পাওয়ায় দ্বিতীয় দফায় ১৮ জানুয়ারি পর্যন্ত নিবন্ধনের সময় বাড়ানো হয়। তৃতীয় দফায় ফের ১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সময় বাড়ায় ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়। তবে তাতেও হজ নিবন্ধনে কাঙ্ক্ষিত সাড়া না মেলায় চতুর্থ ও শেষ দফায় ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত হজ নিবন্ধনের সময় বাড়ানো হয়। তবু সৌদি আরবের দেওয়া ৪৪ হাজার ৪৩টি কোটা খালি রেখেই শেষ হয় এবারের হজের নিবন্ধন কার্যক্রম।

উল্লেখ্য, এ বছর বাংলাদেশের জন্য ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮টি কোটা নির্ধারণ করে দিয়েছিল সৌদি আরব। এর মধ্যে হজে যেতে সরকারিভাবে চার হাজার ২৬০ জন এবং বেসরকারিভাবে ৭৮ হাজার ৮৯৫ জন নিবন্ধন করেছেন। সবমিলিয়ে নিবন্ধন করেছেন ৮৩ হাজার ১৫৫ জন। বাকি রয়ে গেছে ৪৪ হাজার ৪৩টি কোটা।

ধর্ম মন্ত্রণালয় জানায়, শেষ মুহূর্তে অনেকে নিবন্ধন করেছেন। তবে তাদের পেমেন্ট পেন্ডিং অবস্থায় রয়েছে। এদের সংখ্যা দুই হাজারের মতো। এ ব্যাপারে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (হজ অনুবিভাগ) মতিউল ইসলাম বলেন, হজের কোটা ফেরত দেওয়া ছাড়া আমাদের আর উপায় থাকল না। বুধবার সংখ্যাটি চূড়ান্ত করে বাকি কোটা ফেরত দেওয়া হবে।

ধর্ম মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট সূত্রে জানা গেছে, ২০২৩ সালে সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজের খরচ ছয় লাখ ৮৩ হাজার এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ছয় লাখ ৭২ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়, যা গতবারের তুলনায় ৯২ হাজার ৪৫০ টাকা কম। কিন্তু নানা কারণে এই হ্রাসকৃত প্যাকেজেও সাড়া দেওয়ার মতো যথেষ্ট হজযাত্রী পাওয়া যায়নি।

উল্লেখ্য, চাঁদ দেখা সাপেক্ষে চলতি বছরের ১৬ জুন পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হতে পারে।