লঙ্কাওয়াশের মুখে আফগানরা

প্রথম ওয়ানডেতে বড় হারের ঝুঁকিতে ছিল আফগানিস্তান। শেষ পর্যন্ত মোহাম্মদ নবি ও হজরতউল্লাহ ওমরজাইয়ের সেঞ্চুরির সুবাদে হারের ব্যবধান কমিয়ে আনে আফগানরা। আজ রোববার দ্বিতীয় ম্যাচে ঠিকই তাদের উড়িয়ে দিলো শ্রীলঙ্কা। ঘরের মাঠে লঙ্কানরা জিতল ১৫৫ রানের বড় ববধানে। আগামী বুধবার একই ভেন্যুতে শেষ ম্যাচ।

চারিথ আসালাঙ্কা ঝড়ে দলীয় সংগ্রহ তিন শ’ ছাড়ায় শ্রীলঙ্কা

পাল্লেকেলেতে টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ওভারে ছয় উইকেটে ৩০৮ রান করে শ্রীলঙ্কা। জবাবে ৩৩.৫ ওভারে ১৫৩ রানে অলআউট হয় আফগানিস্তান। দাপুটে এই জয়ে এক ম্যাচ হাতে রেখে ওয়ানডে সিরিজ নিশ্চিত করল লঙ্কানরা (২-০)। অন্যদিকে টানা দুই হারে ধবলধোলাইয়ের মুখে পড়ল সফরকারী আফগানরা।

আগের ম্যাচে পাথুম নিসাঙ্কার দ্বিশতকের ওপর দাঁড়িয়ে রানোৎসব করেছিল শ্রীলঙ্কা। এদিন অবশ্য ১৭ বলে ১৮ রানে বিদায় নেন লঙ্কান ওপেনার। পরে স্বাগতিকরা তিন শ’ ছাড়িয়েছে চারিথ আসালাঙ্কা ঝোড়ো ব্যাটিংয়ের সুবাদে। ৭৪ বলে নয়টি চার ও দুই ছক্কায় ৯৭ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। এ ছাড়া ফিফটি করেছেন আরও তিনজন।

অধিনায়ক ও উইকেটরক্ষক-ব্যাটার কুশল মেন্ডিস ৬৫ বলে ৬১ রানে আউট হন। ৬১ বলে ৫২ রানে ফেরেন সাদিরা সামারাবিক্রমা। ৪৮ বলে ৫০ রান এসেছে জানিথ লিয়ানেজের ব্যাট থেকে। আফগানদের পক্ষে সর্বোচ্চ তিন উইকেট নেন আজমতউল্লাহ। একটি করে শিকার ফজলহক ফারুকি, নুর আহমেদ ও কায়েস আহমেদের।

বোলরারা লক্ষ্যমাত্রা নাগালে রাখতে পারেননি। পরে ব্যাটারদের দায়িত্বহীনতার কারণে স্রেফ নিঃশর্ত আত্মসমর্পণ করেছে আফগানিস্তান। তবে রান তাড়ায় শুরুটা খারাপ ছিল না তাদের। ছয় ওভারে বিনা উইকেটে ৩১ রান করেছিল সফরকারীরা। সপ্তম ওভারের শুরুতে বিচ্ছিন্ন হয় আফগানদের উদ্বোধনী জুটি। ধাক্কা দ্রুতই সামাল দেয় আফগানরা।

দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ৯৭ রান যোগ করেন ইব্রাহিম জাদরান ও রহমত শাহ। অতিথিরা ফেরে লড়াইয়ে। এই জুটি ভাঙে ইব্রাহিম ৭৬ বলে ৫৪ রানে বিদায় নিলে। দলীয় দেড় শ’র আগে সাজঘরে ফেরেন রহমতও। ৬৯ বলে ৬৩ রানে আউট হন তিনি। এই দুজন আউট হতেই তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে আফগানদের ব্যাটিং অর্ডার।

১০ রানের ব্যবধানে শেষ আট উইকেট হারিয়ে অলআউট হয়ে যায় আফগানিস্তান। ২৭ রানে চার উইকেট নিয়ে আফগানদের ধসিয়ে দিয়েছেন ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা। দুটি করে উইকেট নেন দিলশান মদুশঙ্ক ও আসিথা ফার্নান্দো। তবে ম্যাচ সেরা হয়েছেন আসালাঙ্কা। সেরার স্বীকৃতি পেয়ে শতক হাতছাড়া করার আক্ষেপ কিছুটা হলেও কমেছে তার।