তাহির জাদুতে আড়াল দুর্দান্ত সাকিব

ইনিংসের শুরুতেই জোড়া ধাক্কা। সামাল দিলেন সাকিব আল হাসান ও শেখ মেহেদি হাসান। এই দুজনের তাণ্ডবে রংপুর রাইডার্স ছাড়াল দুশো রানের গণ্ডি। পরে বল হাতে জাদু দেখালেন স্পিনার ইমরান তাহির। তার দারুণ বোলিংয়ে রানপাহাড়ে চাপা পড়ল খুলনা টাইগার্স। অসম লড়াইয়ের ম্যাচে রংপুর জিতল ৭৮ রানের বিরাট ব্যবধানে। চলমান বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) এটা তাদের সপ্তম জয়।

পাঁচ উইকেট নিয়ে খুলনা টাইগার্সকে ধসিয়ে দিয়েছেন ইমরান তাহির

নয় ম্যাচে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষস্থান ধরে রাখল সাবেক চ্যাম্পিয়নরা। এক ম্যাচ কম খেলে ১২ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে থাকল ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। অন্যদিকে বিপিএলে আট ম্যাচের চারটিতেই হারল খুলনা। আট পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের পঞ্চমস্থানে থাকল এনামুল হক বিজয়ের দল। তাদের পেছনে আছে সিলেট স্ট্রাইকার্স ও দুর্দান্ত ঢাকা।

চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে পাঁচ উইকেটে ২১৯ রানের শক্তিশালী সংগ্রহ তোলে রংপুর। জবাবে ম্যাচের ১০ বল বাকি থাকতে ১৪১ রানে গুটিয়ে যায় খুলনা। অলরাউন্ডিং পারফরম্যান্সের সুবাদে ম্যাচ সেরার দাবিদার ছিলেন সাকিব। কিন্তু পাননি। বল হাতে ৩০ রানে দুই উইকেট নিয়েছেন সাকিব।

আর ব্যাট হাতে ৩১ বলে খেলেন ৬৯ রানের বিস্ফোরক ইনিংস। ছয়টি করে চার-ছক্কায় ইনিংস সাজান সাকিব। কম যাননি তার সঙ্গী মেহেদিও। মন্থর শুরুর পর ঝড় ওঠে তার ব্যাটেও। ৩৬ বলে ৬০ রানের ইনিংসে মেহেদি মেরেছেন ছয়টি চার ও চারটি ছক্কা। ২৪ রানে দুই উইকেট হারানোর পর এই দুজনই হাল ধরেছিলেন রংপুরের।

শেষ দিকে জিমি নিশাম ১৫ বলে ১৩, অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান ১৩ বলে ৩২* ও ডোয়াইন প্রিটোরিয়াস ১২ বলে ১৭* রান করেন। খুলনার বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে সফল লুক উড। চার ওভারে স্রেফ ১৯ রানের বিনিময়ে তিন উইকেট নেন তিনি। একটি করে শিকার নাসুম আহমেদ ও নাহিদ রানার।

খুলনার বোলাররা লক্ষ্যমাত্রা নাগালে রাখতে পারেননি। ব্যাটাররাও পারেননি নিজেদের মেলে ধরতে। তবে এক প্রান্ত আগলে রেখে দীর্ঘ সময় লড়াই চালিয়ে গেছেন ইংলিশ ব্যাটার অ্যালেক্স হেলস। ৩৩ বলে সাতটি চার ও তিন ছক্কায় দলীয় সর্বোচ্চ ৬০ রান করেন খুলনা ওপেনার। এ ছাড়া উড ১৪ বলে ২০ ও নাসুম নয় বলে ১৭ রানে আউট হন।

চার ওভারে ২৬ রানে পাঁচ উইকেট নিয়ে খুলনাকে ধসিয়ে দিয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকান স্পিনার তাহির। দুর্দান্ত বোলিংয়ে দক্ষিণ আফ্রিকান স্পিনার হয়েছেন ম্যাচ সেরা। তার দারুণ বোলিংয়ে আড়ালে চলে যায় সাকিবের অলরাউন্ডিং পারফরম্যান্স।