তাইজুলের আনন্দ

বাঁচা-মরার ম্যাচে বল হাতে রীতিমত ঘূর্ণি যাদু চালিয়ে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সকে স্বল্প পুঁজিতে আটকে দেওয়ার মূল কাজটিই করেছেন ফরচুন বরিশালের বাঁহাতি স্পিনার তাইজুল ইসলাম। এরপর ব্যাট হাতে দলের জয় নিশ্চিত করে চলমান বিপিএলে চতুর্থ দল হিসেবে টুর্নামেন্টের শেষ চার নিশ্চিত করেছেন অধিনায়ক তামিম। গুরুত্বপূর্ণ সময়ে দলের জয়ে অবদান রাখতে পেরে তাই ভীষণ আনন্দিত তাইজুল।

তাইজুল ইসলাম

শুক্রবার শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে প্লে-অফ নিশ্চিত করার ম্যাচে তিন ওভার বল করে ২০ রানের খরচায় তাইজুল তুলে নিয়েছেন ৩ উইকেট। তাতে কুমিল্লা পায় ৮ উইকেটে ১৪০ রানের মাঝারি সংগ্রহ। জবাবে, তামিমের ৪৮ বলে ৬৬ রানের ঝড়ো ইনিংসে ৪ উইকেটের বিনিময়ে ১৪১-৪ রান সংগ্রহ করে বরিশাল।

ম্যাচ শেষে তাই দলের কাঙ্খিত জয়ে অবদান রাখতে পেরে সন্তোষ প্রকাশ করলেন তাইজুল। ‘আসলে ভালো কিছু করলে তো ভালো লাগেই। একজন প্লেয়ার যখন ভালো কিছু করে তখন তার ভালো লাগাটাই স্বাভাবিক। এখানে আমি বলব যে, একজন প্লেয়ারকে যখন আপনি বিশ্বাস করবেন বা তার উপর বিশ্বাস রাখবেন তখন ভালো করাটাই স্বাভাবিক।’

তিনি আরও বলেন, ‘হয়তবা এই জিনিসগুলার অনেক ঘাটতি অনেক সময় ছিল। আমি প্লেয়ার হিসেবে একটা প্লেয়ারকে সাপোর্ট করাটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। যার কারণে এই জিনিসগুলা অনেক কামব্যাক করে।’

বাংলাদেশের ক্রিকেট বাস্তবতায় তাইজুলকে সাধারণত টেস্ট ক্রিকেটার বিবেচনা করা হয়ে থাকে। কিন্তু সেই তিনি এখন ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ততম সংস্করণেও অবদান রাখছেন। কিন্তু কীভাবে? সেটাই খোলাশা করলেন।
‘না এখানে নতুন কিছু আয়ত্বের বিষয় না। হয়তবা ছোট ফরম্যাটে যখন আপনি খেলতে যাবেন কিছু ভ্যারিয়েশন লাগবে। পেস ভ্যারিয়েশন বলেন বা অ্যাঙ্গেল চেইঞ্জিংয়ে সিম্পল জিনিসগুলা অই জিনিসগুলা সঠিক সময়ে সঠিকভাবে ব্যবহার করাটা হচ্ছে গুরুত্বপূর্ণ। তো অই জিনিসগুলা মাশাল্লাহ ভালোভাবে হচ্ছে আরকি।’

চলমান বিপিএলে ফরচুন বরিশালের জার্সিতে ৫ ম্যাচে, ৬.০০ ইকোনমি রেটে ৮ উইকেট নিয়েছেন তাইজুল।