পিএসএলে বিরাট ভুল, ক্ষমা চাইল হক-আই

বৃহস্পতিবার রাতে কোয়েটা গ্ল্যাডিয়েটর্সের কাছে তিন উইকেটে হেরেছে ইসলামাবাদ ইউনাইটেড। সেই ম্যাচের সেরা খেলোয়াড়ের স্বীকৃতি পেয়েছেন কোয়েটা অধিনায়ক রাইলি রুশো। লো স্কোরিং ম্যাচে ৩৮ বলে ৩৪ রানে অপরাজিত থাকেন দক্ষিণ আফ্রিকান ব্যাটার। অথচ ইনিংসের ১১তম ওভারের শেষ বলে আগা সালমানকে সুইপ শট খেলতে গিয়ে এলবি আউট হয়েছিলেন রুশো। বল লাগে তার প্যাডে।

আউট হওয়ার পরও প্রযুক্তির ভুলে বেঁচে যান রাইলি রুশো। জীবন পেয়ে সুযোগ কাজে লাগান তিনি

ইসলামাবাদের আবেদনের প্রেক্ষিতে যথারীতি আউট দেন অন-ফিল্ড আম্পায়ার আলিম দার। কিন্তু রিভিউ নিয়ে বেঁচে যান রুশো। বিস্ময়করভাবে রিভিউতে দেখা গেল অন্য ভিডিও। হক-আই বল ট্র্যাকিংয়ে দেখায় বলের পিচিং, ইমপ্যাক্ট ও হিটিং সবকিছুই অফ স্টাম্পের বাইরে। মাঠের জায়ান্ট স্ক্রিনে সেই দৃশ্য দেখে চমকে যান ইসলামাবাদের ক্রিকেটাররা। আম্পায়ার আলিম দারের কাছেও দৃশ্যটা অবিশ্বাস্য মনে হচ্ছিল। আসলে রিভিউতে আসল ভিডিওই দেখানো হয়নি।

প্রযুক্তিগত এই ভুলে আউটের হাত থেকে বেঁচে যান কোয়েটা ব্যাটার রুশো। বিস্মিত হয় ক্রিকেট দুনিয়া। জীবন পেয়ে সুযোগ কাজে লাগান রুশো। দলের জয়ে রাখেন অবদান। ম্যাচ শেষে এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন ইসলামাবাদ অধিনায়ক শাদাব খান। পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে তিনি বলেছিলেন, ‘প্রযুক্তির ভুলের কারণে আমরা হেরেছি। এ ধরনের টুর্নামেন্ট এমন বড় ভুল হওয়া উচিত নয়।’

পরদিন শুক্রবার এই ভুলের দায় স্বীকার করেছে হক-আই প্রযুক্তি। ডিআরএসের ভুলে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) কাছে ক্ষমা চেছে তারা। আসলে ভুলটা প্রযুক্তির যন্ত্রের নয়, ভুল হয়েছে সেটি পরিচালনায়। আর রক্তে-মাংসে গড়া একজন মানুষই এই প্রযুক্তিটি পরিচালনা করেন। তাই ভুলটা হয়েছে ওই অপারেটরের; মোটা দাগে হক-আইয়ের।

এই ভুলের জন্য ক্ষমা চেয়েছে হক-আই। এক বিবৃতিতে তারা বলেছে,  ‘ভুলবশত ডাটা আগে-পরে হয়ে গিয়েছিল। এই ভুলের জন্য আমরা ক্ষমা চাইছি।’ প্রসঙ্গত, ২০০৮ সালে বল ট্র্যাকিংয়ের জন্য একমাত্র প্রযুক্তি হিসেবে হক-আইকে অনুমোদন দিয়েছিল আইসিসি। একই বছর থেকেই শুরু হয় হক-আই প্রযুক্তির ব্যবহার। যেখানে যুক্ত করা হয়েছিল ডিআরএস।