কাবার ইমাম হতে চান বিশ্বজয়ী হাফেজ বশির!

ইরানে আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় প্রথম হওয়া বাংলাদেশি হাফেজ বশিরের লক্ষ্য ভবিষ্যতে মসজিদুল হারামের ইমাম হওয়া। কোরআন প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হয়ে শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নামলে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

হাফেজ বশির

হাফেজ বশির শুক্রবার জুমার কিছুক্ষণ আগে বিমানবন্দরে অবতরণ করেন। এ সময় তাকে সংবর্ধনা দিতে উপস্থিত ছিলেন তার শিক্ষক দেশের স্বনামধন্য হাফেজ শায়খ নেছার আহমাদ আন নাছিরীসহ শত শত ধর্মপ্রাণ মানুষ। তারা তাকে ফুলেল সংবর্ধনা দেন।

এ সময় হাফেজ শায়েখ নেছার আহমাদ বলেন, বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্তে এখন কোরআনের নিরব বিপ্লব চলছে। এর ফলস্বরূপ দুবাই, সৌদি আরবসহ অনেক দেশে বাংলাদেশি হাফেজরা উল্লেখযোগ্য সাফল লাভ করছেন। তিনি জানান, শীর্ষস্থান অধিকার করার পর ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি হাফেজ বশিরের মাথায় চুমু খেয়েছেন।

এ সময় সাংবাদিক ও শুভাকাক্সক্ষীদের প্রশ্নের জবাবে হাফেজ বশির আহমাদ বলেন, আমি মদিনা বিশ্ববিদ্যালয় অথবা আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ে কোরআনিক সাইন্স বিষয়ে পড়াশোনা কারতে চাই। পরবর্তী সময়ে আমি মসজিদে হারামের ইমাম হতে চাই।

হাফেজ বশির আহমদ ঢাকার মারকাজুত তাহফিজ ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসায় অধ্যয়নরত আছেন। তার গ্রামে বাড়ি হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলার বেগুনাই গ্রামে। তারা বাবা মাওলানা মো: আবদুর রশিদ সহকারী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত আছেন।

এবার ইরান আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্ব গত সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) অনুষ্ঠিত হয়। আর ফল প্রকাশ করা হয়েছে বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) রাতে। এবারের প্রতিযোগিতায় বশির আহমাদ ছাড়াও বাংলাদেশের আরো দুজন হাফেজ শীর্ষস্থানগুলোতে জায়গা করে নিয়েছেন। তারা হলেন, হাফেজ মুশফিক রহমান ও হাফেজা মাইমুনা বিনতে মুনির।

হাফেজ মুশফিক রহমান ছেলেদের কেরাত বিভাগে তৃতীয় স্থান লাভ করেছেন। আর হাফেজা মাইমুনা বিনতে মুনির মেয়েদের হিফজুল কোরআন বিভাগে তৃতীয় স্থান অধিকার করেছেন।