বোলারদের উচ্ছ্বসিত প্রশংসায় অধিনায়ক শান্ত

শরিফুল ইসলাম ইনিংসের প্রথম ওভারে একটি রানও দেননি। ফলে শ্রীলঙ্কার অ্যাকাউন্ট খুলতে খেলতে হল আটটি বল। আর শেষের দুই ওভারে তাসকিন আহমেদ ও মোস্তাফিজুর রহমান দিলেন ১৬ রান। তাতে কাজও হল বিস্তর। ৮ উইকেটের বড় জয়ে তিন ম্যাচ সিরিজের টি-টোয়েন্টিতে ১-১ এ সমতা আনল স্বাগতিক বাংলাদেশ। সঙ্গত কারণেই সতীর্থ বোলারদের উচ্ছ্বসিত প্রশংসায় ভাসালেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত।

নাজমুল হোসেন শান্ত

ম্যাচ শেষে পুরষ্কার বিতরণীতে এসে তিনি বলেন; ‘সত্যি বলতে জয়ের চরিত্র বেশ কয়েকজন এবং যেভাবে আমরা এই কন্ডিশনে বল করেছি। সত্যিই এমন বোলিংয়ে আমি খুশি। যদিও আমি আলাদ করে কাউকে ক্রেডিট দিব না। শরিফুল বিপিএলে (বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ) ভাল বল করেছে তাই সেই ছন্দ এখানেও খুঁজে পেয়েছে। অতএব তার প্রতি আমি ভীষণ খুশি।’

বুধবার সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বাঁচা-মরার ম্যাচে মোস্তাফিজুর, তাসকিন ও শেখ মেহেদি ছিলেন দারুণ খরুচে। চার ওভারে এই টাইগারত্রয়ী দিয়েছেন ৪২, ৩৯ ও ৩৮ রান করে। তবে হিসেবি বোলিংয়ে রানের লাগাম টেনে ধরেছেন অপর তন বোলার। শরিফুল ও সৌম্য ওভার প্রতি দিয়েছেন ৫ করে আর রিশাদ ৩ ওভারে  দিয়েছেন ২১ রান। এতে করে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামা লঙ্কানরা ২০ ওভারে তোলে ৬ উইকেটে ১৬৫ রান।

জবাবে নাজমুল হোসেন শান্তর ৩৮ বলে চারটি চার ও দুই ছক্কায় অপরাজিত ৫৩, তাওহীদ হৃদয়ের ২৫ বলে অপরাজিত ৩২ এবং লিটন দাসের ২৪ বলে ৩৬ রানে ভর করে লক্ষ্যে পৌঁছে টিম টাইগার্স। সঙ্গত কারণেই সতীর্থ ব্যাটারদেরও কৃতিত্ব দিতে ভুল করলেন না এই টাইগার দলপতি। ‘ আমি বলব লিটন, সৌম্য শুরুটা দারুণ করেছে এবং পরে হৃদয়ও ভাল ব্যাটিং করেছে। এটা একটা সত্যিকারের একটি দলগত ম্যাচ।’ আর নিজের ইনিংস নিয়ে বললেন, ‘একটজন ব্যাটার হিসেবে আপনি নিশ্চয়ই প্রতি ম্যাচেই রান করতে চাইবেন। আশা করছি আমি আমার ফর্ম ধরে রাখতে পারবো।’

আগামি ৯ মার্চ একই ভেন্যুতে সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে মুখোমুখি হবে দুই দল।