এমভি আব্দুল্লাহকে রক্ষায় পিছু নিয়েছে ইউরোপীয় যুদ্ধজাহাজ

ভারত মহাসাগরে সোমালীয় জলদস্যুদের হাতে জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজ ‘এমভি আবদুল্লাহ’কে রক্ষায় পিছু নিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সমুদ্র নিরাপত্তা বাহিনীর একটি যুদ্ধজাহাজ। বুধবার বাহিনীর এক বিবৃতিতে এ কথা জানানো হয়েছে। খবর এবিসি ও ফক্স নিউজের।

২৩ নাবিকসহ বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহকে জিম্মি করেছে সোমালীয় জলদস্যুরা

সোমালিয়ার জলদস্যুরা মঙ্গলবার (১২ মার্চ) বাংলাদেশ সময় দুপুরে জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহর নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয়। জাহাজটি তখন সোমালিয়ার রাজধানী মোগাদিসু থেকে ৭০০ মাইল দূরে ছিল।

সর্বশেষ প্রাপ্ত খবরে জানা গেছে, জাহাজটিতে থাকা ২৩ বাংলাদেশি নাবিক ও ক্রুকে জিম্মি করে জলদস্যুরা মোগাদিসুর দিকে যাচ্ছে। জাহাজটিকে অনুসরণ করছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের অপারেশন আটলান্টার যুদ্ধজাহাজ।

ইইউ মেরিটাইম সিকিউরিটি ফোর্স এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, বাংলাদেশি পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহসহ ২৩ নাবিককে জিম্মি করেছে জলদস্যুরা। অপারেশন আটলান্টার অন্তর্ভুক্ত যুদ্ধজাহাজ জিম্মি হওয়া ‘এমভি আবদুল্লাহকে’ ছায়ার মতো অনুসরণ করে চলছে।

ইইউর বিবৃতিতে আরও বলা হয়, জিম্মি নাবিক-ক্রুরা নিরাপদ আছেন। সোমালিয়ার উপকূলের দিকে জাহাজটিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

জাহাজটি জলদস্যুদের কবলে পড়ার প্রথম খবর দেয় ব্রিটিশ মেরিটাইম সিকিউরিটি কোম্পানি আমব্রেই। তারা জানিয়েছে, ২০ জনের মতো সশস্ত্র জলদস্যু জাহাজটিকে জিম্মি করেছে। বাংলাদেশি পতাকাবাহী জাহাজটি মোজাম্বিকের রাজধানী মাপুতু থেকে আরব আমিরাতের হামরিয়ায় যাচ্ছিল।

এদিকে বাংলাদেশ মার্চেন্ট মেরিন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএমওএ)  কর্মকর্তা শাখাওয়াত হোসেন জানান, বুধবার (১৩ মার্চ) সন্ধ্যায় জাহাজটি সোমালিয়া উপকূল থেকে প্রায় ১৭০ নটিক্যাল মাইল দূরে অবস্থান করছিল। ভেসেল ট্র্যাকিং ওয়েবসাইটের মাধ্যমে তারা এমভি আবদুল্লাহর অবস্থান জানতে পেরেছেন।

এমভি আব্দুল্লাহ জাহাজের মালিক প্রতিষ্ঠান এসআর শিপিং। এটি চট্টগ্রামের কবির স্টিল ও রি-রোলিং মিল কোম্পানির একটি সহযোগী সংস্থা। জাহাজটিতে থাকা বাংলাদেশি নাবিক ও ক্রুদের পরিবারে দেখা দিয়েছে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা। তারা দাবি জানিয়েছেন, যে কোনো উপায়ে নাবিকদের সুস্থ অবস্থায় ফিরিয়ে আনার।