যেখানে অতৃপ্ত টিম বাংলাদেশ

মুমিনুল হক ছাড়া দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যক্তিগত ৪০ রানের কোঠাও কেউ স্পর্শ করতে পারেননি। স্রেফ আর একজন ব্যাটারও যদি মমিনুল হককে উইকেটের অপর প্রান্ত থেকে সঙ্গ দিতে পারতেন তাহলে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের  প্রথম টেস্ট ম্যাচটি পঞ্চম দিনে যেতে পারতো বলে বিশ্বাস করেন স্বাগতিক দলের দলপতি নাজমুল হোসেন শান্ত।

সংগৃহীত ছবি

এতে করে যেটা হয়েছে, ৫১১ রানের লক্ষ্যে খেলতে নামা বাংলাদেশ চতুর্থ দিনের চা বিরতিরর আগেই গুটিয়ে গেছে ১৮২ রানে যা তাদের ৩২৮ রানের বড় ব্যবধানে হার মেনে নিতে বাধ্য করেছে। প্রথম ইনিংসে স্বাগকিদের সংগ্রহ ছিল ১৮৮ রান। সেখানে অবশ্য বোলার তাইজুল ইসলামের ৪৭ রানের ইনিংসটিই ছিল সর্বেসর্বা। সোমবার ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসে সেই আফসোসই ঝড়ল বাংলাদেশ দলপতির কষ্ঠে। ‘সৌরভ ভাই তার অভিজ্ঞতা দেখিয়েছে। খুবই ভালো ব্যাটিং করেছে। অন্য প্রান্ত থেকে সাহায্য পেলে হয়ত খেলা পাঁচদিনে যেতে পারত। ব্যাটিং যদি দুই ইনিংসেই দেখি, টপ অর্ডার ভালো করেনি। শুধু আমরা যে সমস্যায় পড়েছি এমন না। দুই দলেরই টপ অর্ডারের সমস্যা হয়েছে। এই অজুহাত দেওয়াও ঠিক হবে না। কীভাবে আরও ভালো করতে পারি এটা নিয়ে কাজ করা দরকার। আশা করছি সামনের ম্যাচ ভালো করব।’

প্রথম ইনিংসে ৫ রানে আউট হওয়া শান্ত দ্বিতীয় ইনিংসে বিশ্ব ফার্নান্দোর বলে আউট হয়েছেন ৬ রানে। তবে তার আউট হওয়ার ধরণটি ছিল খুবই দৃষ্টিকটূ। অফস্ট্যাম্পের অনেক বাইরে যাওয়া বলটি খোঁচা দিতে গিতে গিয়ে সর্বনাশ যা করার তা করে ফেলেছেন। অবশ্য তিনি স্বীকার করে নিয়েছেন, যে বলটি তিনি বুঝতে পারেননি। ‘আমার আউটটা নিয়ে যেটা বলতে পারব, ভুল বল বেছে নিয়েছিলাম। উইকেট যেমন ছিল, নতুন বলে এ ধরনের বল টপ অর্ডার ব্যাটার হিসেবে ছেড়ে দেওয়া উচিৎ। আমার মনে হয় মিস জাজমেন্ট। পরের ম্যাচে ভালো করার জন্য সবাই চিন্তা করবে এবং ভালোভাবে কামব্যাক করবে।’

কম দৃষ্টিকটূ ছিল না লিটন দাসের আউটও। দলীয় ৩৭ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে গোটা দল যখন ধুঁকছে তখন লিটন প্রথম বলেই ছয় হাকাতে গিয়ে ক্যাচ দিয়ে দলকে ঘোরতর বিপদে ফেলে গেলেন। যদিও এই আউট নিয়ে কথা বলতে রাজি হননি শান্ত। তবে এটুকুই বলেছেন যে টেস্ট ক্রিকেটে সাধারণত এমন আউট দেখা যায় না। ‘লিটনের আউটটা নিয়ে আসলে আমি বলতে পারব না। লিটনই ভালো ব্যাখ্যা দিতে পারবে। তবে হ্যাঁ, সাধারণত টেস্ট ক্রিকেটে এ ধরনের আউট খুব একটা দেখা যায় না।’

দুই ইনিংসে শ্রীলঙ্কার সংগ্রহ ছিল ২৮০ ও ৪১৮। এই জয়ে দুই ম্যাচ সিরিজের টেস্টে ১-০ তে এগিয়ে গেল শ্রীলঙ্কা। চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে ৩০ মার্চ -৩ এপ্রিল।