বান্দরবানে যৌথ অভিযানে অপহৃত ব্যাংক ম্যানেজার উদ্ধার

বান্দরবানের সোনালী ব্যাংকের রুমা শাখা লুট করার সময় অপহৃত ব্যবস্থাপক নিজাম উদ্দিনকে পাহাড়ের অরণ্য থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় র‌্যাব, ডিজিএফআই ও সেনাবাহিনীর যৌথ অভিযানে রুমার বেতেলপাড়া থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়। এ সময় তিনি সুস্থ ছিলেন।

উদ্ধার করা হয় নিজাম উদ্দিনকে

নিজাম উদ্দিনকে উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করে র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সোয়া সাতটার দিকে নিজাম উদ্দিনকে উদ্ধার করা হয়েছে। বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় কেএনএফের সঙ্গে মধ্যস্থতা করে তাকে উদ্ধার করা হয়েছে। পরে তাকে বান্দরবানে স্থানীয় র‌্যাব ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়া হয়।

র‌্যাব -১৫ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন সন্ধ্যায় গণমাধ্যমকে বলেন, রুমা বাজার এলাকা থেকে ব্যাংক কর্মকর্তা নিজাম উদ্দিনকে উদ্ধার করা হয়েছে। এদিকে রুমা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) দিদারুল আলম তার সুস্থ থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

সোনালী ব্যাংকের রুমা শাখা ও নিজাম উদ্দিন

এদিকে বিষয়টি নিয়ে ব্রিফিংকালে বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানী ঢাকার কারওয়ান বাজারে র‌্যাবের মিডিয়া সেন্টারে খন্দকার আল মঈন সাংবাদিকদের বলেন, সোনালী ব্যাংকের ম্যানেজার নিজাম উদ্দিনকে মুক্তি দিতে কেএনএফ বেশ কিছু অর্থ মুক্তিপণ হিসেবে দাবি করেছে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও যৌথ বাহিনীর সহযোগিতায় আমাদের প্রথম কাজ হচ্ছে তাকে অক্ষত ও নিরাপদে ফিরিয়ে আনা। এ জন্য নানা কৌশল কাজে লাগাচ্ছে র‌্যাব।

উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার রাতে সোনালী ব্যাংকের রুমা শাখায় ডাকাতির চেষ্টা করে কেএনএফের শতাধিক অস্ত্রধারী। এ সময় তারা ব্যাংকের ভল্টে থাকা টাকা লুট করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। পরে তারা পুলিশ ও আনসার সদস্যদের ১৪টি অস্ত্র ও ৪১৫টি গুলি সঙ্গে করে নিয়ে যায়। সে সময় ওই শাখার ব্যবস্থাপক নিজাম উদ্দিন রামু উপজেলা কম্পাউন্ডের মসজিদে তারাবির নামাজ পড়ছিলেন। হামলাকারীরা মসজিদে ঢুকে তাকে অপহরণ করে নিয়ে যায়।

পরদিন বুধবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে একদল সশস্ত্র দুর্বৃত্ত তিনটি গাড়ি নিয়ে এসে থানচি কৃষি ব্যাংক ও সোনালী ব্যাংক শাখায় হামলা চালিয়ে টাকা লুট করে। তারা কৃষি ব্যাংক থেকে দুই লাখ ৮ হাজার টাকা এবং সোনালী ব্যাংক থেকে ১৫ লাখ টাকা লুট করে নেয়। এ সময় তারা গুলি চালিয়ে পুরো এলাকায় আতঙ্ক তৈরি করে।

দুটি ঘটনাতেই পাহাড়ের সশস্ত্র সংগঠন কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট-কেএনএফ এর সামনে নাম এসেছে। এ গোষ্ঠীটি পাহাড়ে ‘বম পার্টি’ নামে পরিচিত।