এতদিনে ক্ষোভ উগড়ে দিলেন সুজন

২০২৩ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপে বাংলাদেশের টিম ডিরেক্টরের দায়িত্বে ছিলেন খালেদ মাহমুদ সুজন। কিন্তু যথাযথ এ দায়িত্ব পালনের সুযোগ মেলেনি তার! এতেই ক্ষুব্ধ সুজন জানালেন, ভবিষ্যতে বাংলাদেশ দলের কোনো দায়িত্ব নিতে আগ্রহী নন তিনি।

খালেদ মাহমুদ সুজন – ফাইল ছবি

আসছে জুনে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে বসবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আসর। আসরকে সামনে রেখে নিজেদের প্রস্তুত করছে বাংলাদেশ দল। স্বাভাবিকভাবেই বড় আসরগুলোতে টিম ডিরেক্টরের দায়িত্বে দেখা যায় সুজনকে। তবে আসন্ন আসরে এমন সম্ভাবনা বেশ কম।

আজ ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে (ডিপিএল) আবাহনীর ম্যাচ ছিল না। এরই ফাঁকে আজ মিরপুরে গণমাধ্যমের সামনে কথা বলেন সুজন। টাইগারদের দায়িত্ব নেওয়া প্রসঙ্গে সুজন বলেন, ‘আমি মনে হয় বাংলাদেশ ক্রিকেটের আর সলিউশন (সমাধান) না। সমাধানের জন্য অনেক বড় নাম রয়েছে। আমি আর বাংলাদেশ জাতীয় দলের কোন দায়িত্ব নিতে আর আগ্রহী নই। গত বিশ্বকাপে আমি যা করেছি (হোয়াট আই ডান) আমি মনে করি ওটা আমার ক্রিকেট ক্যারিয়ারের সঙ্গে যায় না। হয়ত আমি বড় কোচ না, বেশি কিছু জানিও না ক্রিকেট নিয়ে। তারপরও আমি মনে করি আমার সম্মান আছে। গত বিশ্বকাপে আমি সেই সম্মানটা পাইনি। তাই আমি আর এই কাজ করতেও চাই না।’

‘আমি নিজের জীবন নিয়ে থাকতে চাই। আবাহনী, বিপিএল, রাজশাহীতে ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে কাজ করছি। এগুলো নিয়েই ভালো আছি। দেশের ক্রিকেটের কোন উন্নতিতে যদি কাজ করতে হয় তবে অবশ্যই করব। কিন্তু জাতীয় দলের অ্যাসাইনমেন্টগুলো হয়ত আমার জন্য না, আমি যেটা বললাম আমি হয়ত ওটা ডিজার্ভ করি না,' যোগ করেন সুজন।

একই সঙ্গে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনকেও অনুরোধ করেন যেন সামনে এমন দায়িত্বে তাকে না রাখেন, ‘আমার অধিনায়ক পাপন ভাই। উনি যদি আমাকে ফাইন লেগে ফিল্ডিং করতে বলে তাহলে তাই করব। কিন্তু আমি মনে করি, উনি কখনোই আমাকে এখানে ফিল্ডিংয়ে পাঠাবেন না। আমি এখন আর কোনো সমাধান না। এত বড় বড় কোচরা আসছে যারা হাইলি পেইড, তাদের মধ্যে আমার না যাওয়াটাই ভালো। আমি এখন আর ২৮-২৯ বছরের বালক না, আমার সম্মানটা এখন আমাকে রাখতে হবে। পাপন ভাইকে আগের মতোই সম্মান করি। কিন্তু আমি পাপন ভাইকে অনুরোধ করব, যেন উনি আমাকে আর এ বিষয়ে দায়িত্ব না দেন।’