শুক্কুরের সেঞ্চুরি, শাইনপুকুরের টানা পঞ্চম জয়

ব্যাট হাতে ১০৬ রানের অসাধারণ ইনিংস খেলেছেন উইকেটরক্ষক ব্যাটার ইরফান শুক্কুর। তাতেই আড়াইশ পেরুনো সংগ্রহ পায় শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাব। মাঝারি পুঁজি নিয়েও লড়াই করেছে শাইনপুকুরের বোলাররা। শেষ পর্যন্ত লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জকে ৬৭ রানে হারিয়েছে দলটি। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের (ডিপিএল) চলমান আসরে এ নিয়ে টানা পাঁচ ম্যাচে জয়ের দেখা পেল শাইনপুকুর।

ম্যাচ সেরার পুরস্কার জেতেন শুক্কুর

বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে নয় উইকেটে ২৫৬ রান সংগ্রহ করে শাইনপুকুর। দলের হয়ে একমাত্র সেঞ্চুরিটি করেন শুক্কুর। ৮৮ বলে ১২ চার ও তিন ছক্কা ইনিংসটি সাজান তিনি। এছাড়া ৩৫ বলে ৪২ রান করেন ওপেনার জিসান আলম। আরেক ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম ফেরেন দুই রানে। লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের হয়ে একটি করে উইকেট নেন আল আমিন, শুভাগত হোম, শহিদুল ইসলাম, মাশরাফি বিন মুর্তজা ও মুমিনুল হক।

মাঝারি লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে দলকে ভালো শুরুর আভাস দেন আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান তৌফিক খান তুষার। কিন্তু ইনিংস বড় করতে পারেননি তিনি, সাজঘরে ফেরেন ১৮ বলে ১৯ রান করেই। এরপর দ্রুত আউট হন সাদমান ইসলাম ও মুমিনুল হক। এর মধ্যে তুষার ও মুমিনুলকে আউট করেন তরুণ পেসার নাহিদ রানা।

এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারায় দলটি। একসময় একশর নিচে অলআউট হবার শঙ্কায় পরে দলটি। তবে তা হতে দেননি ১০ নম্বরে নামা আব্দুল হালিম ও এগারো নম্বরে নামা আল আমিন হোসেন। দুজনের ৭৮ রানের জুটিতে বড় হার এড়ায় দলটি। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ৫০ ওভারে নয় উইকেটে ১৮৯ রানে থামে রূপগঞ্জের ইনিংস। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৬০ রান করেন হালিম। ৬৭ বলের মোকাবিলায় সমান পাঁচটি করে চার ও ছয় হাঁকান তিনি। আল আমিনের ব্যাট থেকে আসে ৩৮ বলে ২২ রান। শাইনপুকুরের হয়ে তিনটি উইকেট নেন নাহিদ রানা। দুটি করে উইকেট নেন রিশাদ আহমেদ ও নাঈম আহমেদ।

এই জয়ে ১১ ম্যাচে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে অবস্থান করছে শাইনপুকুর। অপরদিকে ১১ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট নিয়ে সপ্তম স্থানে লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ।

সংক্ষিপ্ত স্কোর

শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাব : ২৫৬/৯ (৫০ ওভার)
লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ : ১৮৯/৯ (৫০ ওভার)
ফল: শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাব ৬৭ রানে জয়ী।